বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নিহত বাংলাদেশি শ্রমিকদের তাৎক্ষণিকভাবে নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
ভূমিধসের এ ঘটনায় আরও ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এঁদের মধ্যে মালয়েশিয়ার একজন তত্ত্বাবধায়ক এবং ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের শ্রমিক রয়েছেন। তবে কোন দেশের কতজন রয়েছেন সেই সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভূমিধসের পর ১৬০ জন উদ্ধারকর্মী ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশ উদ্ধারে কাজ করছেন। পুলিশ বলছে, তিন বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের এক নাগরিকের লাশ ধ্বংসস্তূপ থেকে আজ উদ্ধার করা হয়।
পেনাংয়ের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের পরিচালক সাদন মোখতার বলেন, ‘আমরা এখন মাটির প্রায় ৩৫ মিটার গভীরে খুঁড়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছি। ক্যানাইন ইউনিট দিয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। জীবিতদের চিহ্নিত করতে ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করছি আমরা।’
বাংলাদেশি শ্রমিক মোহাম্মদ জসিম হুসেইন আহমদ বার্তা সংস্থা বারনামাকে বলেন, ‘হঠাৎ করে মাত্র এক মিনিটের মধ্যে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। শ্রমিকেরা পালানোর কোনো সুযোগই পাননি।’
অনেক অভিবাসী শ্রমিকই স্বল্প মজুরির বিনিময়ে মালয়েশিয়ার নির্মাণশিল্পে কাজ করে থাকেন। ভূমিধসে যেসব শ্রমিকেরা আটকে পড়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের নাগরিক। এঁদের মধ্যে একজন রোহিঙ্গা ও একজন পাকিস্তানের নাগরিকও আছেন। উদ্ধার অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মী এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই নির্মাণাধীন স্থাপনায় দুটি ৪৯ তলা ভবন তৈরির কথা ছিল। ভূমিধসের কারণ এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। এ ঘটনায় পেনাংয়ের মুখ্যমন্ত্রী লিম গুয়ান এং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।