আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন জোরালোভাবে বাংলাদেশের পাশে আছে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে দ্বিপক্ষীয় আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ফোরামে নিয়মিত যোগাযোগের পাশাপাশি নেপথ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে পাঁচ দফা প্রস্তাব ঘোষণার উল্লেখ করে আবুল হাসান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলা। তাই জাতিসংঘ মহাসচিব ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখা অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত রাশিয়া ও চীনে যাবেন।
মাহমুদ আলী বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থার (ওসিএইচএ) প্রধান, জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) প্রধান, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ অক্টোবর জেনেভায় একটি প্লেজিং কনফারেন্স (রোহিঙ্গাদের সহায়তার আর্থিক তহবিল সংগ্রহের সম্মেলন) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই সম্মেলনে বাংলাদেশকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের তিনটি প্রতিনিধিদলকে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে। যার ফলে প্রতিনিধিদল গত ৩ ফেব্রুয়ারি ও ১১ অক্টোবর দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনগুলোতে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের তথ্যচিত্র উঠে এসেছে।
মাহমুদ আলী বলেন, ‘আমাদের এসব কূটনৈতিক উদ্যোগ ও জনসংযোগ কার্যক্রমের ফলে আন্তর্জাতিক মহলে আজ রোহিঙ্গা ইস্যুটি এত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদে আরিয়া ফর্মুলা সভার আয়োজন এবং ওই আলোচনায় সব সদস্যের বক্তব্য থেকে এটি পরিষ্কার যে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক মহল নিবিড়ভাবে যুক্ত আছে।’