‘খালেদার পালানোর ইতিহাস নেই, আছে শেখ হাসিনার’

Slider রাজনীতি

c61b065dd745178650c579172701fb25-59da20f239b6a

দেশের নেত্রী, জনগণের নেত্রী, গণতন্ত্রের নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস নেই। পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস তো আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন। কাল (বুধবার) তিনি দেশে ফিরছেন। তারা (আওয়ামী লীগ) বলেছে, উনি ষড়যন্ত্র করছেন, চক্রান্ত করছেন, উনি আসবেন না। কিন্তু গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে খালেদা জিয়ার মনোবলকে দুর্বল করা যাবে না। তিনি বলেন, আপনাদের (সরকার) অপপ্রচার-মিথ্যাচারের ধোঁয়াশাকে বিদীর্ণ করে খালেদা জিয়া কাল তাঁর জনগণের কাছে ফিরে আসছেন, দেশে আসছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের নেত্রী, জনগণের নেত্রী, গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়ার পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস নেই। পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস তো আওয়ামী লীগ নেত্রীর।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়ে তাঁর (খালেদা জিয়া) মনোভাব-মনোবলকে আপনারা ভাবছেন দুর্বল করবেন, আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। খালেদা জিয়া শত অত্যাচারকে মাথায় নিয়ে জনগণের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং জনগণের নেতৃত্ব দেবেন।’

গত সপ্তাহে কুমিল্লায় একটি মামলায় এবং ঢাকার আদালতে পৃথক দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

জাসাসের সভাপতি অধ্যাপক মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক আশরাফউদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, জাসাস সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান, সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মুনির, মীর সানাউল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

কোথাও স্বস্তি নেই, নিরাপত্তা নেই
এদিকে দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রতিটি পদে, প্রতিটি স্থানে, রাষ্ট্রে চলছে আওয়ামী শাসন, শেখ হাসিনার শাসন। কোথাও কোনো স্বস্তি নেই, নিরাপত্তা নেই।’ তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের ওপর হস্তক্ষেপ করল সরকার। আইনমন্ত্রী গোটা জাতিকে ব্ল্যাকমেল করেছেন। সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি ও সর্বোচ্চ আদালত নিয়ে তিনি মিথ্যাচার করেছেন।’

আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *