মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন ও ভারত যৌথভাবে নেতৃত্ব দিতে পারে বলে চীনের গ্লোবাল টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে।
নিবন্ধে বলা হয়, মিয়ানমারের সঙ্গে চীন ও ভারতের স্বার্থ জড়িত। তাই বেইজিং ও নয়াদিল্লি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে। পারে মিয়ানমারে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে গ্লোবাল টাইমস-এর নিবন্ধটিতে বলা হয়েছে, নিপীড়ন থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগ সত্ত্বেও তাদের নেতা অং সান সু চির নীরব ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু বেইজিং ও নয়াদিল্লি মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে। মিয়ানমারের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারত ও চীন রাখাইনের জাতিগত ও ধর্মীয় সহিংসতার জটিলতা ভালো করেই বোঝে। তারা জানে, সমস্যার সমাধানে মিয়ানমার সরকারের সময় লাগবে। এরপরও অর্থনৈতিক কারণে এই দুই রাষ্ট্রের সহযোগিতা করা উচিত বলে নিবন্ধে মত দেওয়া হয়েছে।
নিবন্ধে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে মিয়ানমারে চীনের বিনিয়োগ ১ হাজার ৮৫৩ কোটি ডলারে পৌঁছেছে এবং বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে দেশটি। তাই বেইজিংজের উদাসীন থাকা অসম্ভব। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে না থাকলেও মিয়ানমারের সঙ্গে স্বার্থের সম্পর্ক ছিন্ন করা ভারতেরও পক্ষে সম্ভব না। গত মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমার সফরে যান। তখন অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, জ্বালানিসহ একাধিক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়।