সৌদিপ্রবাসী পাত্রের সঙ্গে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তাতে বাধা দেয় পুলিশ। বিয়ের আগেই বর ও কনেপক্ষকে থানায় ডেকে নিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিয়ে পণ্ড হয়ে যাওয়ায় মন খারাপ হয় পাত্রের। তখন তাঁর হাতে ফুলের তোড়া তুলে সান্ত্বনা দিয়েছে পুলিশ।
সাতকানিয়া পৌরসভা সদরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আগামী বৃহস্পতিবার এই বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। এই বাল্যবিবাহ বন্ধে মূল উদ্যোগ নিয়েছেন সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল হোসেন।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীর সঙ্গে সাতকানিয়া পৌরসভার সৌদিপ্রবাসী এক পাত্রের বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়েছিল। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নেওয়াসহ আনুষঙ্গিক সব প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে ছিল। এ খবর জেনে আজ কিশোরীর অভিভাবক এবং পাত্রসহ তাঁর অভিভাবকদের জরুরি ভিত্তিতে থানায় ডেকে নেওয়া হয়। এ সময় সাতকানিয়া থানার ওসি দুই পক্ষকে বাল্যবিবাহের কুফল ও এর আইনগত দিক বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. এনামুল কবির। তিনি বলেন, বিয়ের কনে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাল্যবিবাহের বিষয়টি জেনে পুলিশ তা বন্ধ করে দিয়েছে।
সাতকানিয়া থানার ওসি বলেন, বিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাত্র একটু অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তাঁর মন একটু খারাপ হয়ে যায়। পুলিশের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে ওই পাত্রকে ফুলের তোড়া দেওয়া হয়েছে।