সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে জলদস্যুদের বন্দুকযুদ্ধে মোক্তার মোল্যা নামে এক দস্যু নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার শৈল খালে জলদস্যু লিটন বাহিনীর সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটলে বন তল্লাশি করে ওই দস্যুর মৃতদেহ উদ্ধার করে র্যাব। এ সময় দস্যুদের আস্তানা থেকে তাদের ব্যবহৃত ২১টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৭ রাউন্ড গুলি এবং বিপুল পরিমাণ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা। নিহত মোক্তার মোল্যা জলদস্যু লিটন বাহিনীর সেকেন্ড ইন-কমান্ড।
এ ব্যাপারে র্যাব বরিশাল-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার উজ-জামান জানান, সুন্দরবনের শৈল খাল এলাকায় জলদস্যু লিটন বাহিনীর আস্তানা আছে- গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা রবিবার রাতে সুন্দরবনে অভিযান শুরু করে। সোমবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে র্যাব সদস্যরা সেখানে পৌঁছালে বনের মধ্যে থেকে দস্যুরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। আধা ঘন্টা ধরে গোলাগুলির এক পর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটলে বন তল্লাশি করে জলদস্যু মোক্তার মোল্যার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দস্যুদের আস্তানা থেকে ২১টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৭ রাউন্ড গুলি এবং বিপুল পরিমাণ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিহত দস্যুর মৃতদেহ এবং অস্ত্র ও গুলি শরণখোলা থানা পুলিশে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
র্যাব সূত্র আরো জানায়, জলদস্যু লিটন বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় জেলেদের নৌকা ও ট্রলারে ডাকতি করে জাল ও মাছ লুট এবং জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে। ওই দস্যু বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ আছে।
জানা গেছে, র্যাবের কঠোর তৎপরতার কারণে ২০১৬ সালের ৩১ মে থেকে চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সুন্দরবনের ১২টি দস্যু বাহিনীর ১৩২জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। এ সময় দস্যুরা ২৪৯টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১২ হাজার ৫৯২ রাউন্ড গুলি জমা দিয়েছে।