যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলির ওপর বড়সড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে উত্তর কোরিয়া। আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন নৌবাহিনীর যৌথ মহড়ার আগেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ শহর লক্ষ্য করে পিয়ং ইয়ং ছুড়তে পারে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) হোয়াসং-১৪ বা মাঝারি পাল্লার হোয়সং-১২।
দক্ষিণ কোরিয়ার দৈনিক দোঙ্গা লিবো আজ শনিবার এই খবর দিয়ে জানিয়েছে, আলাস্কাসহ মার্কিন শহরগুলির ওপর হামলার জন্য ইতিমধ্যেই জোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে উত্তর কোরিয়ার।
একটি সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সোলের দৈনিকটি জানিয়েছে, উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে লঞ্চারের ওপর বসিয়ে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে পিয়ং ইয়ং ও উত্তরের ফিওঙ্গান প্রদেশের হ্যাঙ্গারগুলি থেকে বের করে আনা হচ্ছে। সেগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেশের সুদূরতম উত্তর প্রান্তে। সেখান থেকেই মার্কিন শহরগুলিকে লক্ষ্য করে আইসিবিএম ছোড়ার পরিকল্পনা রয়েছে পিয়ং ইয়ংয়ের। আসন্ন ওয়াশিংটন-সোল যৌথ নৌমহড়ার নেতৃত্ব একটি মার্কিন এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার দেবে বলে শুক্রবার মার্কিন নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে।
কূটনীতিকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়াকে বার্তা দিতেই যৌথ নৌমহড়ার নেতৃত্বে থাকছে রোনাল্ড রেগন নামে একটি মার্কিন এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার। হোয়াসং-১৪-এর মতো আইসিবিএমকে লঞ্চপ্যাডের দিকে যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তার কারণ, মার্কিন শহর আলাস্কাকে আঘাত করার ক্ষমতা রাখে ওই আইসিবিএম। আর হোয়াসং-১২ ক্ষেপণাস্ত্রকে লঞ্চপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন এলাকা গুয়াম দ্বীপে হানা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে বলে। গত ১ অাগস্ট ওই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই গুয়াম দ্বীপে হামলার হুমকি দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া।
সোলের দৈনিকটি জানিয়েছে, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ নৌমহড়ার আগে তাদের আনকোরা নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হোয়াসং-১৩-এরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে ফেলতে পারে পিয়ং ইয়ং। ওই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রশান্ত মহাসাগর লাগোয়া আমেরিকার পশ্চিম দিকের শহরগুলি। ওদিকে যৌথ নৌমহড়ার জন্য পরমাণু অস্ত্রবাহী ইউএসএস মিশিগান সাবমেরিন গতকালই দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ প্রান্তের সমুদ্র বন্দর বুসানে পৌঁছেছে। এ সপ্তাহের গোড়ায় দুটি সুপারসোনিক মার্কিন বোমারু বিমান উড়ে গেছে ওই এলাকার ওপর দিয়ে।