নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া বালুবাহী বাল্কহেডের ভেতর থেকে ২৮ ঘণ্টা পর সোহাগ হাওলাদার (৩৫) নামের এক গিজারম্যানকে (ইঞ্জিন সহকারী) জীবিত উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে বাল্কহেডের ইঞ্জিন রুম থেকে সোহাগকে উদ্ধার করা হয়। পরে নৌ পুলিশ তাঁকে তিন শ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের পরিদর্শক আবু তাহের।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজনীন সুলতানা বলেন, সোহাগ বর্তমানে সুস্থ আছেন। তবে তিনি ভয় পেয়েছেন। বাল্কহেডের ইঞ্জিন রুমে পানি প্রবেশ না করায় এবং রুমে অক্সিজেন থাকায় তিনি বেঁচে গেছেন।
উদ্ধার হওয়া সোহাগ বলেন, ‘বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার পর ইঞ্জিন রুমে আটকা পড়ি। আমি সেখানে শুধুই আল্লাহর নাম জপছিলাম। আজ বিকেলের দিকে মনে হচ্ছিল অচেতন হয়ে পড়ছি। এমন সময় আমাকে উদ্ধার করে ডুবুরিরা।’
নৌ পুলিশের পরিদর্শক আবু তাহের জানান, গতকাল বুধবার দুপুরে বন্দর উপজেলার ২ নম্বর ঢাকেশ্বরী সোনাচড়া এলাকায় বিআইডব্লিউটিসির ডকইয়ার্ডের সামনে এমভি মুছাপুর নামের একটি বালুবোঝাই বাল্কহেড ডুবে যায়। এ সময় বাল্কহেডের চালকসহ অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাল্কহেডের ইঞ্জিন রুমে থাকা গিজারম্যান আটকা পড়ে পানির নিচে তলিয়ে যায়। বুধবার বিকেল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল নিখোঁজ গিজারম্যান সোহাগ হাওলাদারকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। সন্ধ্যা সাতটার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে তারা। পরে বেসরকারি ডুবুরি দলকে উদ্ধার তৎপরতার জন্য নিয়োগ করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে বেসরকারি ডুবুরি দলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সিকদার বাল্কহেডের ভেতর থেকে জীবিত অবস্থায় সোহাগ হাওলাদারকে উদ্ধার করেন।