ম্যাচ কিউরেটরের দাবি, এ উইকেটে ৪০০ রানও তোলা সম্ভব। গত জুনে যুক্তরাজ্যে এক প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ অমন কাণ্ড প্রায় করেই ফেলেছিল। কিন্তু আজ যে তেমন কিছু হচ্ছে না, সে ইঙ্গিত সৌম্য সরকার দিয়ে রেখেছেন প্রথম বল থেকে। প্রচণ্ড অস্বস্তিতে ভরা ১৩ বলের ইনিংসে ৩ রান করে আউট হয়ে গেছেন সৌম্য। তবু যে উদ্বোধনী জুটিতে ৩১ রান এল সেটা ইমরুল কায়েসের সৌজন্যে। ৬ বাউন্ডারিতে ৩১ বলে ২৭ রান তুলেছেন ইমরুল। কিন্তু অষ্টম ওভারে রবি ফ্রাইলিঙ্কের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন ইমরুল। আগের বলেই আকাশে বল তুলে বিদায় নিয়েছেন সৌম্য।
তিন ও চারে নামা লিটন দাস ও মুশফিকের গল্পটাও প্রায় একই রকম। সাবধানী লিটন (৮) ও আক্রমণাত্মক ঢঙে ব্যাট করা মুশফিক (২২) বিদায় নিয়েছেন দুই রানের ব্যবধানে। ৬৩ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ তখন আরেকটি দুঃস্বপ্নের অপেক্ষায়।
ভাগ্যিস সাকিব আল হাসান ছিলেন। প্রথমে মাহমুদউল্লাহকে (২১) নিয়ে ৫৭ রানের জুটিতে ইনিংস থিতু করলেন। পরে সাব্বির রহমানকে নিয়ে ৬৯ বলে ৭৬ রানের জুটি গড়ে বড় এক স্কোরের আশা দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু অ্যারন ফাঙ্গিসোর বলে সাকিব আউট হয়ে যেতেই বড় স্কোরের স্বপ্ন শেষ হয় বাংলাদেশের। ৬৭ বলে ৯ চারে ৬৮ রান করা সাকিব ফেরার পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেছেন সাব্বির ও নাসির। কিন্তু ফিফটির পরই আউট হয়ে গেছেন সাব্বির (৫২)। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও মাশরাফি মুর্তজার দুটো ছোট ইনিংসেই আড়াই শ পেরিয়েছে সফরকারীরা।
যে উইকেটে ৪০০ রানও সম্ভব বলে মনে হচ্ছিল, সেখানে ২৫৫ রান নিয়ে কতটা লড়তে পারেন বোলাররা সেটাই এখন দেখার বিষয়!