কিউরেটর নিকো প্রিটোরিয়াসের পূর্বাভাস, ওয়ানডের এই উইকেটে চাইলে এক ইনিংসে ৪০০ রানও করা সম্ভব। উইকেটের ফ্যাকাশে চেহারা এবং এখন পর্যন্ত হওয়া বোলিংও সেটাই বলছে। বাউন্স ভালোই আছে, তবে সেটা ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলার মতো তো নয়ই, বরং ওই বাউন্সে শট খেলাটাই বেশি সহজ। তারপরও আগে ব্যাটিং নিয়ে এই মুহূর্তে ভালো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ। ৩১ রানের মধ্যে ড্রেসিংরুমে ফিরে গেছেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস। তিন নম্বরে নামা লিটন দাসের পর ফিরে গেছেন মুশফিকুর রহিম। ১৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে রান ৬৩।
দুই ওপেনারের শুরুটা হয়েছিল দুই রকম। ইমরুল কায়েস শুরু থেকেই ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। ২৭ রানের মধ্যে দুই পেসার বিউরান হেসরিকস আর রবি ফ্রাইলিঙ্কেকে মেরেছেন ছয় বাউন্ডারি। দুটি তো চোখে লেগে থাকার মতো শট খেলে। একটি দুর্দান্ত পুল শটে। আরেকটি কভারের ওপর দিয়ে স্লাইস করে। অন্যদিকে, সৌম্য সরকার শুরু থেকেই নড়বড়ে। ব্যক্তিগত ১ রানে ফ্রাইলিঙ্কের বলে কায়া জন্ডো তাঁর সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন স্লিপে। শেষ পর্যন্ত ৩ রান করে ফ্রাইলিঙ্কের বলেই ব্যাটের কানায় লাগিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন মিড অনে।
এর আগে দুই একটা শটে দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশের ফিল্ডারদের বিভ্রান্তও করতে পেরেছেন সৌম্য। হয়তো কাভার ড্রাইভ করতে গেছেন, বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে গেছে ফাইন লেগে। অষ্টম ওভারে সৌম্য ফেরার পরের বলেই আউট ইমরুল কায়েসও। বাঁহাতি এই ওপেনারও ফ্রাইলিঙ্কের বলেই ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে।
প্রস্তুতি ম্যাচ যেহেতু, ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে প্রতি দলের বোলিং, ফিল্ডিং করতে পারবেন ১২ জন। তবে ব্যাট করবেন ১১ জনই। বাংলাদেশ দলের রুবেল হোসেন যেমন শুধু বোলিংই করবেন।