পলাশ প্রধান
উত্তরা থেকে : বিশ্ব ইজতেমার প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে জোড় ইজতেমা প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হয়।। ৯জানুয়ারী বিশ্ব ইজতেমার তারিখ চূড়ান্ত হওয়ার পর শুরু হলো ৫দিনের জোড় ইজতেমা।
শুক্রবার ফযর নামাজের পর থেকে টঙ্গীর তুরাগ নদীর পুর্ব উত্তর তীরে ৫দিনের জোড় ইজতেমা শুরু হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমা শুরু প্রথম পর্ব ৯-১১ জানুয়ারি আর দ্বিতীয় পর্ব ১৬-১৮। মুসল্লীরাও জিকির আসকার ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য় বজায় রেখে দলে দলে আসছেন জোড় ইজতেমা ময়দানে। ইতোমধ্যে এ জোর ইজতেমায় অংশ নিতে কমপক্ষে তিন চিলা সমাপনকারী হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীগণ দূর-দূরান্ত থেকে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আসছেন। এই ইজতেমা সফল করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বীরা জানান, চলমান বছরের ন্যায় এবারও দু’পর্বে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমা। আর এ বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি হিসাবে জামাতভুক্ত পুরাতন সাথীদের নিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবার বার্ষিক জোড় ইজতেমা শুরু হয়েছে। টানা ৫দিন জোড় ইজতেমা শেষেই বিশ্ব ইজতেমার প্যান্ডেলসহ যাবতীয় কাজ শুরু করা হবে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে দু’পর্বে ৬দিন ব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পবের্র তিনদিনের ইজতেমা শুরু হবে ৯-১০ ও ১১ জানুয়ারি। ১৬ জানুয়ারী থেকে শুরু হয়ে ১৮ জানুয়ারী পর্যন্ত চলবে। ১৮ জানুয়ারী দ্বিতীয় পর্বের আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা।
ইজতেমা সুত্র জানায়, জোড় ইজতেমা উপলক্ষে ইতোমধ্যে তাবলীগ জামাতের প্রায় লক্ষাধিক মুসলী ইজতেমা ময়দানে সমবেত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বিদেশী মেহমানও রয়েছেন। তাবলীগের এসব মুসলী বিশ্ব ইজতেমা শুরুর আগ পর্যন্ত কোথায় কী কাজ করবেন, তার দিক নির্দেশনা দেবেন তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বীরা। আগামী সোমবার বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৩দিনের জোড় ইজতেমা। জোড় ইজতেমা শেষে মসজিদ কেন্দ্রিক দাওয়াতের কাজেও তাবলীগের হাজার হাজার মুসল্লীরা ছড়িয়ে পড়বেন দেশ-বিদেশে। এদিকে প্রতি বারের মত এবারও বিশ্ব ইজতেমায় নেয়া হবে র্যাব-পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আর এই জোড় সম্মেলনকে ঘিরেও পুলিশ প্রশাসন ইজতেমা মাঠ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছেন।
বুধবার সচিবালয়ে ইজতেমা উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রতি বছরের মতো এবারো বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। তবে ইবোলার কারণে আফ্রিকার পাঁচটি দেশের মুসল্লিদের আসা নিরুত্সাহিত করতে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসগুলোতে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশগুলো হলো- নাইজেরিয়া, লাইবেরিয়া, মালি, গিনি ও সিয়েরালিওন। এছাড়া অন্যান্য দেশের মুসল্লিদের পরীক্ষার জন্য বেসরকারী বিমান পর্যটন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিমানবন্দরে পরীক্ষার যন্ত্র স্থাপন এবং ইবোলা পরীক্ষা করার সব ব্যবস্থাই থাকবে।
এ ব্যাপারে টঙ্গী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন জানান, জোড় ইজতেমা সফল করতে পুলিশ প্রশাসন থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নিয়মিত পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইন শৃংখলা বাহিনী কাজ করছে। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে।