রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়াটাকে চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সে চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ গ্রহণ করায় এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিও বিষয়টির ওপর পড়েছে এবং মিয়ানমারও আলোচনা করতে আগ্রহী হয়েছে।
তিনি বলেন, বেশ কিছু ঘটনা ছিল যেটা হয়তো এখন বিস্তারিত বলবো না, আমাদের একেবারে প্রতিবেশী, তারা একটা পর্যায়ে এমন একটা ভাব দেখালো যে আমাদের সঙ্গে যেন যুদ্ধই বেঁধে যাবে।
আমি আমাদের সেনাবাহিনী বর্ডার গার্ড- সকলকে সতর্ক করে বললাম, কোন রকম উস্কানিতে তারা যেন বিভ্রান্ত না হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি নির্দেশ না দেই। তারা এরকম একটা ঘটনা ঘটাতে চাইবে এবং অনেকেই আছে এখানে নানা রকমের উস্কানি দেবে বা এমন একটা অবস্থা তৈরি করতে চাইবে যেটা অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরাবে।যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে তিন সপ্তাহের সফর শেষে দেশে ফেরার পর বিমান বন্দরে সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থে পদ্মাসেতু নির্মাণ করছি। যারা আমাদের এই পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে মিথ্যা অপবাদ এবং বাংলাদেশের সামর্থ্যকে হেয় করার চেষ্টা করেছিল আমরা তাদের সমুচিত জবাব দিয়েছি।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সদ্য সমাপ্ত ৭২তম অধিবেশনে তার সফল অংশগ্রহণের জন্য এক সংবর্ধনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে আবারও বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তিন সপ্তাহের সফর শেষে দেশে ফেরার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে এই সংবর্ধনার আয়োজন করে।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মত বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ সরকারের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একে কেন্দ্র করে তার সরকার এবং পরিবারকে নিয়ে কুৎসা রটনা করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বার্থান্বেষী মহল একে কেন্দ্র করে আমাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ দেয়ার চেষ্টা করে এবং অতি উৎসাহী মহল জনগণকেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। ‘
তিনি বলেন, অনেকেই মনে করে যখন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এমন অভিযোগ করছে, কাজেই এটি সত্যি হতে পারে। কিন্তু আমার আত্মবিশ্বাস ছিল যে, এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই আমার এই দেশে আসা, নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন।
তিনি এবং তার পরিবার পদ্মা সেতু নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থার মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপনের সময় কেমন মানসিক যন্ত্রণায় সময় অতিবাহিত করেছেন সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই আমাদের এমনভাবে দেখতে আরম্ভ করে যেন আমরা না যেন কি অন্যায় করে ফেলেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাটি সে সময় অপপ্রচার শুরু করে এবং দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মাসেত প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়, দুর্নীতির তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করে তারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তখন বলেছি প্রকল্পে কোন দুর্নীতি হয়নি। আর যদি হয়ে থাকে তাহলে তা প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু তারা এই অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়। অথচ, যিনি বাংলাদেশের দুর্নীতির বিষয়ে সে সময় সবচেয়ে সরব ছিলেন তার নিজেরই ৪০ হাজার পৃষ্টার দুর্নীতির খতিয়ান প্রকাশ পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেই তখন বিশ্বাস করতে পারেনি সরকার নিজস্ব অর্থে এই সেতু নির্মাণে সক্ষম হবে, মন্ত্রীসভার অনেকের মধ্যেও তখন সে বিশ্বাস ছিল না। কিন্তু আমার প্রতিজ্ঞা ছিল, নিজস্ব অর্থেই পদ্মাসেতু নির্মাণ হবে।
অনেকেই তখন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, যেহেতু পদ্মাসেতু এলাকার সাথে তার নির্বাচনী এলাকা সম্পর্কিত সেহেতু তার নির্বাচনী আসনের কি হবে, তখন আমি বলেছিলাম, আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে বা নির্বাচনে বিজয়ের জন্য এটা করছি না, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন সত্যের জয় অনিবার্য। আর এটা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। পদ্মাসেতুর প্রথম স্প্যান বসানোর দিন তিনি এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থানকালিন বিনিদ্র রাত কাটিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাত ৩ টায় ব্রিজের প্রথম স্প্যান বসানোর কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হবার সংবাদ পেয়ে আমরা আনন্দে কেঁদে ফেলি।
প্রধানমন্ত্রী এসময় দেশের দক্ষিণ জনপদকে যুক্তকারি এই সেতু নির্মাণে তাকে অকুন্ঠ সমর্থনের জন্য দেশে-বিদেশে অবস্থানকারী সকল বাংলাদেশিদের অভিনন্দন জানান।
নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণে সমর্থ হওয়ায় তার সরকার দেশ ও জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের চেয়ে বড়ও আর কিছু একজন রাজনীতিকের জীবনে হতে পারে না। আর এটাই সব থেকে বড়ো উপহার, যা আমি অর্জন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় পদ্মাসেতুর প্রথম স্প্যান সফলভাবে সংযোজন সম্পন্ন হওয়ায় মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে শোকরিয়া জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন আর আমরা চাই সমগ্র বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ সব সময় মাথা উঁচু করে চলবে।
এদিন রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও বিস্তরিত খোলামেলা কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ আমাদের ওপর যুদ্ধ পর্যন্ত চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিদেশে যাবার পূর্বেই যেকোন ধরনের অনভিপ্রেত পরিস্থিতির উদ্ভব সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করে যান উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেদিকে আমরা খুবই সতর্ক ছিলাম। জনগণ জানে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আমাদের বিজিবি পুলিশ থেকে শুরু করে স্থানীয় যারা সংগঠন করেন এবং অন্যান্য প্রত্যেককেই আমরা এ ব্যাপারে সতর্ক করি। যা যা দরকার তার আগাম ব্যবস্থা আমি করে দিয়ে গিয়েছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাই হোক আমি এটুকুই বলব, বাংলাদেশ এই আশ্রয়টা দিয়ে একটা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। শুধু তাই নয়, আমরা বললাম প্রয়োজনে আমরা একবেলা খাব, আর অন্য বেলার খাবারটা ওদের দিয়ে দেব এবং আমরা কিন্তুু সেটা করে যাচ্ছি। আর আজকে বাংলাদেশ যদি এই অবস্থানটা না নিত, তাহলে হয়তো আন্তর্জাতিক সম্পদায়েরও দৃষ্টিটা এভাবে আকর্ষণ করতে পারতো না।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়াটা সম্পূর্ণই মানবিক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। আর বিপন্ন মানুষকে আশ্রয় দেয়া মানুষের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখলাম মিয়ানমারে যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার হয়েছে, যেভাবে গণহত্যা, পাশবিক অত্যাচার হয়েছে, তাতে ছোট শিশুরা পর্যন্ত রেহাই পায়নি। খুব স্বাভাবিকভাবে তাদেরকে আমাদের তাদেরকে আশ্রয় দিতে হলো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বহুদেশে এধরনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা দেখেছি বিশ্বে অনেকেই দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। আশ্রয় দিতে চায়নি।
প্রধানমন্ত্রী এসময় ছোটবোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে করে কক্সবাজারের উখিয়ায় একটি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের স্মৃতিচারণকরে বলেন, সে সময় রেহানাও আমার সঙ্গে ছিল সে বললো ১৬ কোটি মানুষকে তো ভাত খাওয়াচ্ছো আর ৫-৭ লাখ লোক, তাদের আশ্রয় দিতে পারবে না। খাওয়াতে পারবে না। এই যে কথাটা-সত্য কথা বলতে কি এটা একটা আত্ম-বিশ্বাসের ব্যাপার।
প্রধানমন্ত্রী সেখানে ত্রাণকার্য পরিচালনার উল্লেখ করে বলেন, কে কখন আমাদের কি সাহায্য দেবে তার জন্য কিন্তু আমরা অপেক্ষা করিনি। আমাদের দলের নেতা-কর্মী, প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড সকলেই একটি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা যারা সহযোগিতা করছে তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সকলেই সহযোগিতা করছে। সকলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি এটাই শুধু চিন্তা করেছি ১৯৭১ সালের কথা। আজকের অনেকের সে সময় জন্মই হয়নি। তারা জানে না সে সময়কার ভয়াবহতার কথা।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় নিজেকে ভুক্তভোগী উল্লেখ করে তাদের গ্রাম, দাদা-দাদী, নানা-নানীর ঘর বাড়ি সহ পাকিস্তানী হানাদারদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া এবং হত্যাযজ্ঞের দুঃসহ স্মৃতি স্মরণ করেন। তিনি বলেন, আমাদের সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে তিন কোটি সাড়ে তিন কোটি মানুষের ঘর-বাড়ি জালিয়ে দিয়ে তাদের নিঃস্ব করে দেয়া হয়েছিল। প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল।
এসময় শরণার্থীদের কাছে যথাযথভাবে ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রশাসন এবং তার দলের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কেও আলোকপাত করেন প্রধানমন্ত্রী।
‘যারা বিপন্ন মানুষ আগে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে-‘ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সেই রাজনীতিই শিখিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগের কিন্তু একটি স্বভাবজাত প্রবণতা আছে- দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর, এটিই আমাদের রাজনীতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যা আছে তা দিয়েই আমরা শুরু করেছি এবং এখনো একটি বিরাট দায়িত্ব আমাদের এবং আমি ধন্যবাদ জানাই মিয়ানমার সরকার আন্তর্জাতিক চাপে এবং যেভাবেই হোক তারা অন্তত এগিয়ে এসেছে, আলোচনা শুরু করেছে। আমি মনে করি এটাও একটি বিশেষ দিক, আন্তর্জাতিক চাপ আছে। এ অবস্থায় আলোচনার মধ্যদিয়ে আমরা এটার সমাধান করতে পারবো।
তিনি বলেন, এই যে আপনারা সমাজের বিশিষ্টজনরা আজ এখানে আছেন- আসলে যখন একটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তখন সিদ্ধান্ত সঠিক কি ভুল সেটা ঠিক করার চাইতেও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে। যখন দেখি সিদ্ধান্ত সঠিক এবং এজন্য মানুষের সমর্থনটা পাচ্ছি সেটা কিন্তু আমাদের মানসিক শক্তি জোগায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ছিলাম ওখানে (দেশের বাইরে) কিন্তু প্রতিদিনই আমার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। অফিসের কাজও বাদ দেইনি। আর এখনতো ডিজিটাল বাংলাদেশ তাই অনলাইনেও ফাইল সই করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী এসময় মিয়ানমারের আগত নাগরিকদের তালিকা করা, বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনের তার সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন।
এর আগে, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, ১৪ দলীয় জোট, বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ, শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, ক্রীড়াবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
বিমানবন্দরে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এবং ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, জেষ্ঠ্য সাংবাদিক এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা’র (বাসস) চেয়ারম্যান রাহাত খান, দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, জেষ্ঠ্য সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, বাংলাদেশ ওয়ান ডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, শিল্পী হাশেম খান, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), সাম্যবাদী দল, তরিকত ফেডারেশনসহ ১৪ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বাসস