জামায়াত নেতাদের নির্বাচন ঠেকাতে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিসহ ১৭ দফা প্রস্তাব করেছে ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। আর সংসদ ভেঙে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনসহ ১৪ দফা প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।
আজ রোববার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে আলাদাভাবে অংশ নিয়ে দল দুটি এসব প্রস্তাব দেয়।
বিকেলে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে জাসদের ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়। জাসদ বলেছে, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি আদমশুমারির সঙ্গে সংযুক্ত। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নতুনভাবে কোনো আদমশুমারি হচ্ছে না। তাই দলটি মনে করে, দশম সংসদ নির্বাচনের সংসদীয় আসন বহাল রেখেই একাদশ সংসদ নির্বাচন করতে হবে। এ ছাড়া একটি নিবন্ধিত দল থেকে নির্বাচিত সাংসদ অনিবন্ধিত দলে যোগ দিলে তা ওই অনিবন্ধিত দলকে নিবন্ধনের যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা না করা, নতুনভাবে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বা কাছাকাছি নামে কোনো দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার প্রস্তাব করেছে জাসদ। দলটি জামায়াতের কেউ বিএনপি বা অন্য কোনো দলের নামে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারে সে বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করার কথাও বলেছে।
জাসদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে আছে, নিবন্ধিত দলকে ব্যয় নির্বাহে ও প্রচারণায় নিয়মিত অনুদান, ইভিএম ব্যবহার, দলের অনুদান আয়কর মুক্ত করা, অনলাইনে মনোনয়নের ব্যবস্থা, স্বতন্ত্র প্রার্থিতায় ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন তালিকার শর্ত বাতিল, জামানাত ২০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা করা, স্থানীয় ও সংসদ নির্বাচনে স্বপদে থেকে নির্বাচন করায় অযোগ্যতা বিধান, পাবলিক ও বেসরকারি থেকে অবসরের পর ভোটে অংশ নেওয়ার শর্ত শিথিল করা ইত্যাদি।
এর আগে সকালে আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নেয় জেএসডির ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল। তাদের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে আছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে যাতে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সূচি ভন্ডুল না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা, প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেওয়া, ‘না’ ভোটের বিধান চালু, সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা, সব ভোটারদের এনআইডি কার্ড সরবরাহ, দলের অঙ্গ সংগঠন না থাকার বিধান কার্যকর করা, সব প্রার্থীকে এক মঞ্চে প্রচারণার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।