রাজধানীর হাতিরঝিলে অবৈধভাবে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বহুতল ভবন ভাঙার জন্য শেষবারের মতো সাত মাসের সময় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আজ রবিবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে প্রথমদিকে ৬ মাস সময় দেয়া হলেও পরবর্তীতে তা ৭ মাস করা হয়।এর আগে আজ সকালে বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙার জন্য আরও এক বছর সময় চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষ হয়। বিজিএমইএ’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী এবং রাজউকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত ১২ মার্চ বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে ছয় মাসের সময় দেন আপিল বিভাগ। বিজিএমইএ-এর তিন বছরের আবেদনের শুনানি নিয়ে ওই দিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ ভবন ভাঙতে ছয় মাস সময় দেন।
গত ৫ মার্চ বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে কত সময় লাগবে তা ৯ মার্চের মধ্যে আদালতে আবেদন করতে বলেছিলেন আপিল বিভাগ। ওই দিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ রিভিউ আবেদন খারিজ করে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার রায় বহাল রাখেন।
উল্লেখ্য ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবন ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই বছরের ১৯ মার্চ ৬৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। এরপর ২১ মে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। একই বছরের ২ জুন বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের করা আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। ৮ নভেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। এরপর ৮ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন করে বিজিএমইএ, যাতে আপিল বিভাগের রায় স্থগিত করে বহুতল ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য তিন বছরের সময় চাওয়া হয়।
এ বছরের ১২ মার্চ এ আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ ভবনটি ভাঙতে ছয় মাস সময় দেন। কিন্তু ভবনটি সরানোর চেষ্টা করেনি বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে ২৩ আগস্ট আরও এক বছরের সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ।