স্বনামধন্য নাট্যপরিচালক, চিত্রগ্রাহক ও নাট্যকার রায়হান খানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হলো মডেল, অভিনয়শিল্পী ও উপস্থাপক নোভার। গত ২৬ আগস্ট ঢাকা জজকোর্ট কাজি অফিসে তাঁরা দুজনই তালাকনামায় স্বাক্ষর করেন। জানা গেছে, পারস্পরিক সম্মতিতে এই বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। দেড় বছর প্রেমের পর ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর তাঁরা বিয়ে করেছিলেন।
আজ রোববার দুপুরে নিজেই ফোন করে এই বিবাহবিচ্ছেদের খবর জানালেন নোভা। বিবাহবিচ্ছেদের ৪৪ দিন পর কেন তাঁরা এই খবর জানাচ্ছেন? নোভা বলেন, ‘শুরুতে আমরাই চাইনি। এরই মধ্যে পরিচিত অনেকেই তা জেনে গেছেন। আমাদের নিজেদের সিদ্ধান্তে এই বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। আমরা খুব ভালো বন্ধু। আমাদের পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আর সম্মান অটুট আছে। আমরা চাই না, আমাদের এই ছাড়াছাড়ি নিয়ে কোনো নোংরামি হোক।’
তাহলে বিবাহবিচ্ছেদ কেন? নোভা বলেন, ‘কিছু সমস্যা তো ছিলই। আমাদের ছেলে সান্নিধ্য বড় হচ্ছে। আমি চাইনি এই সমস্যাগুলো সান্নিধ্যকে স্পর্শ করুক। বাবার প্রতি ওর শ্রদ্ধা যেন এতটুকু নষ্ট না হয়। তাই সময় থাকতেই আমরা আলোচনা করে দূরে সরে গেছি।’
পরে রায়হান খান বলেন, ‘আমি ছিলাম বাড়ির ছোট ছেলে। কখনোই কোনো দায়িত্ব নিতে হয়নি। কিন্তু সংসার মানেই অনেক দায়িত্ব। এই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমাদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির তৈরি হয়। এটা পুরোটাই ছিল পারিবারিক। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল অর্থনৈতিক ব্যাপারও। ঝগড়া ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। আমাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। আমরা এই দূরত্বকে বাড়তে দিতে চাইনি। আমি এখনো আশাবাদী, আমি সমস্যাগুলো যদি কোনো দিন মেটাতে পারি, তাহলে নিশ্চয়ই নোভা আবার আমার সংসারে ফেরত আসবে।’ একই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নোভা।
কী এমন সমস্যা হলো, যা বিবাহবিচ্ছেদের আগে মেটানো সম্ভব হয়নি? নোভা বলেন, ‘আমি ডাল-ভাত খাব, কিন্তু কেউ আমাকে অপমান করবে, এটা সহ্য করব না। পাওনাদার কেন আসবে? রায়হানের অপরিকল্পিত জীবনযাপনের কারণে আমাকে নানাজনের কাছ থেকে অপমান হতে হয়েছে। আমার কাছে যা আছে, তাই নিয়ে আমাকে পরিকল্পনা করতে হবে। কিন্তু রায়হানের স্বভাব তেমন নয়। এটাই আমাদের মাঝে ঝামেলা তৈরির প্রথম কারণ।’
নোভা রায়হান খানের দ্বিতীয় স্ত্রী। এর আগে রায়হান খান আরেকটি বিয়ে করেছিলেন। ওই স্ত্রীর সঙ্গে অনেক আগেই রায়হান খানের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে। ওই সংসারে তাঁর একটি ছেলে আছে।