এর আগে সকালে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত উনি তাঁর (বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) বাসভবনে আছেন। তিনি কার সঙ্গে দেখা করবেন বা করবেন না, এটি কি আমাদের কাজ? আমরা কি নির্দেশনা দিতে পারি?’ এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এই মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, ‘সকাল ৯টার দিকে আপিল বিভাগ বসামাত্রই আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী সেখানে গিয়ে বলার চেষ্টা করেছেন প্রধান বিচারপতি কোথায় আছেন? তাঁরা তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি স্পষ্টভাবে তাঁদের জানিয়েছেন উনার জ্ঞাতমতে, প্রধান বিচারপতি তাঁর নিজ বাসভবনে আছেন। আইনজীবীরা যখন আবার প্রার্থনা করেছেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য যেন একটি আদেশ দেওয়া হয়, তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেছেন, এটি তাঁদের তথা আপিল বিভাগের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না।’
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, তিনি যেদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন, সেদিনই বারের সদস্যদের, অর্থাৎ সমিতির যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, তাঁদের উচিত ছিল উনার সঙ্গে দেখা করা। তাঁরা দেখা করেননি। অন্য যেকোনো বিষয়ে আদালতের সামনে এ রকম প্রার্থনা না করে ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের চেম্বারে গিয়েও এসব উদ্বেগ জানাতে পারতেন। যাই হোক এ বিষয়ে তাঁদের প্রার্থনামতো আদালত কোনো রকম আদেশ প্রদান করেননি।
আইনজীবী সমিতি নয় বরং অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, সমিতির সভাপতির এমন বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মাহবুবে আলম বলেন, এগুলো হলো তাঁদের অহেতুক দোষারোপ করা। কারণ, অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে আমরা কোনো সময়ই আইনের বাইরে বা মামলা-মোকদ্দমার বাইরে কোনো বিষয়ে কথা বলি না। বরং তাঁরাই নানা রকম দলীয়করণ ও বারকে একটি দলের মুখপাত্র হিসেবে করে ফেলার চেষ্টা করছেন।