চিকিৎসক বড় ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে নাটোরের একটি ক্লিনিকে ছোট ভাই চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। সে অভিযোগে পুলিশ ছোট ভাই আমিরুল ইসলাম সাগর নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর বাজারে ‘আনোয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমিরুলকে আটক করে পুলিশ। প্রতিষ্ঠানটি তাঁর বাবা আনোয়ার হোসেনের নামে করা হয়েছে। এ ছাড়া পৌর সদরের চাঁচকৈড় কাচারিপাড়ায় ‘হাজেরা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামে আরও একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাঁদের।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, পুলিশের হাতে আটক আমিরুলের বড় ভাই আমিনুল ইসলাম সোহেল সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। কিন্তু তিনি ওই দুটি ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করছেন। ১০ দিন ধরে তাঁর অনুপস্থিতিতে ছোট ভাই চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন।
গুরুদাসপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তারেকুর রহমান সরকার বলেন, চিকিৎসক না হয়েও আমিরুল নিজেকে চিকিৎসক দাবি করে নিজেদের ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন—এমন খবরের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি।
জিজ্ঞাসাবাদে আমিরুল পুলিশের কাছে দাবি করেন, তিনি রংপুরের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়ছেন। বাড়িতে থাকার সময় বড় ভাইয়ের পাশে থেকে পেশাটি হাতকলমে রপ্ত করতেন এবং তাঁকে সহযোগিতা করতেন।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বলেন, আমিরুলকে আটকের সময় ওই ক্লিনিক থেকে তাঁর বড় ভাই ও একজন অতিথি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে সাগরের হাতের লেখা নেই। তাই তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তবে সতর্ক করা হয়েছে।