বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া দুইটি অভিবাসন চেকপোস্ট খুলে দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উষ্ণতা বোঝাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মিজোরামের লংগলাই জেলার জোরিনপুই ল্যান্ড চেকপোস্টটি খুলে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার থেকে ভারতে আসতে বা ভারত থেকে মিয়ানমারে যেতে এই রাস্তা ব্যবহার করা যাবে। তবে সব যাত্রীদেরই সঙ্গে বৈধ অনুমতিপত্র ও সচিত্র পরিচয়পত্র জরুরি, এ কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে জোরিনপুইকে বেছে নেওয়া হয়েছে মাল্টি-মডেল প্রজেক্ট হিসাবে। মিয়ানমারের সিট্টে বন্দর থেকে ২৮৭ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত জোরিনপুইতে এই রাস্তা খোলা হয়েছিল ২০১২-তে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মিয়ানমার সফরের সময়। গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার প্রথম মিয়ানমার সফরে যান ও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার উপর জোর দেন। সে দেশের সঙ্গে ভারতের ১৬৪৩ কিলোমিটার লম্বা সীমান্ত রয়েছে, যা অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর ও মিজোরামকে ছুঁয়ে যায়।
পৃথক আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিজোরামের লাংগলেই জেলার করপুইচুয়াহ ল্যান্ড চেকপোস্টটি খুলে দেওয়া হয়েছে। এই চেকপোস্টটি দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে বা বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রেও বৈধ অনুমতিপত্র ও পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪,০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত অাসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গকে ছুঁয়ে যায়।