বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষা বাঁধের পূর্ব পাড়ে গড়িলাবাড়ি অংশের মূল গাইড ও গাইড বাঁধের বাহিরের অংশে ভাঙন শুরু হয়েছে। গরিলাবাড়ি অংশের এই বাঁধটি ভেঙে গেলে গরিলাবাড়িসহ ৭টি গ্রাম যমুনার গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে বাঁধের পাশে থাকা অনন্ত ২০টি বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। অনেকেই বাড়ি ঘর সরানোর সময়ও পাচ্ছে না। ভাঙন কবলিত মানুষ অন্যত্র সরে যাচ্ছেন।পানি কমতে থাকায় তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙনে সেতুরক্ষা বাঁধের কিছু অংশ ও গাইড বাঁধের বাহিরে অনন্ত ২শ’ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে অন্তত ২০টি বসত ভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। শনিবার রাত ১টা থেকে ভাঙন ধসের ঘটনা ঘটে। যা এখনও অব্যাহত আছে।
সেতু কর্তৃপক্ষের লোকজন পূর্বের দু’টি ধসে যাওয়া স্থানে সামান্য কিছু জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে কোন কাজেই আসছে না। তবে বাধঁটি রক্ষায় এখন পর্যন্ত জোরালো কার্যক্রম শুরু করেনি সেতু কর্তৃপক্ষ। যদিও এই ভাঙন সেতু থেকে অনন্ত ৬/৭ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় সেতুর জন্য হুমকি নয়।
তবে সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাঁধের সামান্য অংশের ব্লক সরে গেছে তা মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ১০০ মিটার পাথর ও ১৮ মিটার ব্লক দ্বারা ২০০৩ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষার জন্য বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি অসাধু মহল বাঁধের কোল ঘেষে বালু উত্তোলনের ফলে নীচের অংশের মাটি সরে যাওয়ায় এ ধসের ঘটনা ঘটেছে। সেতু কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি ও গাফলতির কারলে আজ বাঁধটির এ অবস্থা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। বাঁধটি ভেঙে গেলে বাধেঁর পাশের ৭টি গ্রাম গরিলা বাড়ি, বেলটিয়া, আলীপুর, বুরপ বাড়ি, পৌলির চর, দৌগাতি, বেঁড়িপটল একেবারে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এপর্যন্ত ৪০০ মিটার গাইড বাঁধ ও ৪৫০টা বসতবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।