৩৬-দফা কাঠমান্ডু ঘোষণার মাধ্যমে আজ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর ১৮তম শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়েছে। সার্কের চেয়ারম্যান ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা সন্ধ্যায় সিটি হলে এ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাপনী অধিবেশনে সংস্থাভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। কৈরালা আরো ঘোষণা করেন যে, ১৯তম সার্ক সম্মেলনে ২০১৬ সালে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের সদ্য সমাপ্ত সম্মেলনে যুগান্তকারী সার্ক ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট অন এনার্জি কো-অপারেশন (বিদ্যুৎ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হলো। আট দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সমাপনী অধিবেশনে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তেশেরিং তোবগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা সিটি হলে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সদস্য দেশের পরিবহনমন্ত্রীরা সার্ক যাত্রী পরিবহন মোটরযান চুক্তি ও সার্ক রেলওয়ে সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী তিন মাসের মধ্যে বৈঠকে বসবেন। সার্কের চেয়ারপার্সন সুশীল কৈরালার সমাপনী ভাষণের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পরে দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের নেতারা এক ফটো সেশনে অংশ নেন।