মার্ক ফিল্ড মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে অং সান সু চির সঙ্গে এবং ঢাকায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
২৫ আগস্টে সেনা ক্যাম্পে হামলার অভিযোগে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নতুন করে জাতিগত নিধন শুরু হয়। এর পর পশ্চিমা কোনো দেশের প্রতিনিধি হিসেবে মার্ক ফিল্ডই প্রথম ওই রাজ্য যান। মার্ক ফিল্ড রাখাইনের সিত্তেতে গেলেও সহিংসতাপ্রবণ মংডু, বুথিডং কিংবা রাথিডংয়ে যেতে পারেননি।
এদিকে গত ২৫ আগস্ট থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্ক ফিল্ড বলেন, সু চির সীমাবদ্ধতাকে মেনে নিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধান করা উচিত। কারণ, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সু চি ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনী ‘সর্বময় ক্ষমতার’ অধিকারী হবে।
রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে, বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে শুরু থেকেই উচ্চকণ্ঠ রয়েছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে যুক্তরাজ্য সু চির ওপর বেশি চাপ দেওয়ার পক্ষে নয়। মার্ক ফিল্ড বলেন, ‘আমাদের অং সান সু চির সীমাবদ্ধতাও বুঝতে হবে। সেনাবাহিনীর ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ নেই। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী এখনো সেনাবাহিনী যথেষ্ট শক্তিশালী। সু চি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চাপের মধ্যে একটি “সঠিক পথ” বের করার চেষ্টা করছেন।’
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, সু চি সব শরণার্থীকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আভাস দিয়েছেন, সু চি ব্যর্থ হলে মিয়ানমারের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব সেনাবাহিনীর হাতে চলে যাবে। তাতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যর আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যালিস্টার বার্ড উপস্থিত ছিলেন।