মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা বন্ধ এবং তাদের আবাসস্থল রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর গুরুত্বারোপ করেছে কানাডার মানবাধিকার বিষয়ক সিনেট কমিটি।
বৃহস্পতিবার অটোয়ায় হাউজ অব কমন্সে রোহিঙ্গাদের ‘মানবাধিকার লংঘন’ বিষয়ক শুনানিতে এই প্রস্তাবনাটি নিয়ে আলোচনা হয়।
শুনানি শেষে কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর জিন মুনসন এক বার্তায় এ কথা জানান।তিনি বলেন, মানবাধিকার বিষয়ক সিনেট কমিটিতে হৃদয় বিদারক সাক্ষ্য বিবরণ উপস্থাপিত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা গণহত্যার যে বিবরণ দিয়েছেন তা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
শুনানিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পক্ষে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষে হাইকমিশনার মিজানুর রহমান, মিনিস্টার নাইমউদ্দিন, প্রথম সচিব (বাণিজ্য) দেওয়ার মাহমুদুল হক বাংলাদেশের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কানাডার পরিচালক ফরিদা দিয়েফ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশাল কানাডার সেক্রেটারি জেনারেল আহমেদ রমাদান, বার্মা টাস্কফোর্স অব দ্যা বার্মা মুসলিম কানাডার প্রতিনিধি, রোহিঙ্গা এসোসিয়েশন অব কানাডার প্রেসিডেন্ট আনোয়ার আরকানী প্রমুখ এতে অংশ নেন।
শুনানিতে অংশ গ্রহণকারী প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের বিভৎস চিত্র তথ্য প্রমাণসহ তুলে ধরেন। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার প্রক্ষাপট এবং বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের প্রসঙ্গ উদ্ধৃত করে কফি আনানের সুপারিশের আলোকে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিতেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
সূত্র : নতুন দেশ