চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে উনাই এমেরির শিষ্যরা। আলভেজ, নেইমার, কাভানির গোলের রাতে দু’টিতে অবদান রেখে পিএসজির জয়ে ভূমিকা রেখেছেন কাইলিয়ান এমবাপেও।
বুধবার রাতে ঘরের মাঠ পার্ক ডে প্রিন্সেসে শুরুটা দুর্দান্ত হয় পিএসজির। দ্বিতীয় মিনিটেই নেইমার-আলভেজের মেলবন্ধনে গোল পায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সের ভেতর থেকে জটলা উপেক্ষা করে নেইমার বল ঠেলে দেন ডানপ্রান্তে থাকা আনমার্কিং আলভেজকে। আর সেটি থেকে অতিথি গোলরক্ষক উলরিখের পায়ের নিচ দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দলকে এগিয়ে দেন এই রাইটব্যাক।
তবে ছেড়ে কথা বলতে নারাজ বায়ার্নও। ধাক্কা কাটিয়ে আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে তারা। তারই ধারাবাহিকতায় ১২ মিনিটে জোসুয়া কিমিচের নেয়া কর্নার থেকে পাওয়া বলে পা ছুঁয়েও জালে জড়াতে ব্যর্থ হন থমাস মুলার। ১৮ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে জাভি মার্টিনেজের জোড়াল শট কোনভাবে ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক আরেওলা।
এরপর ৩১ মিনিটে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এডিনসন কাভানি। ডি-বক্সের ভেতর দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে এমবাপের করা ব্যাকপাস থেকে বায়ার্ন গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে বল জড়ান তিনি।
স্বাগতিক দর্শকদের চোখ তখন কাভানি-নেইমারের দিকে। আর তাদেরকে হতাশও করেননি এই জুটি। কাভানির সঙ্গে নেইমারের উষ্ণ আলিঙ্গনই দর্শকদের কাছে পেনাল্টি, ফ্রি-কিক নিয়ে সমস্ত দ্বন্দ্ব ভুলে যাওয়ার বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।
বিরতির পর গোল পান নেইমার। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে পেনাল্টি বক্স থেকে এমবাপের শট বায়ার্ন ডিফেন্ডার ঠেকিয়ে দিলেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সেখান থেকে আলতো টোকায় জালে বল জড়িয়ে বায়ার্নকে ৩-০তে পিছিয়ে দেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
এরপর ম্যাচের ৬৭ মিনিটে অফসাইডের কারণে একটি গোল বাতিল হলে ফেরার আশাও শেষ হয়ে যায় বায়ার্নের।