এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ১১৩ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সমৃদ্ধ দেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়। গতবছর প্রতিষ্ঠানটি দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছিল। এবছরও প্রতিষ্ঠানটি রংপুর বিভাগে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখে।
নিয়মতান্ত্রিক পাঠদানের পাশাপাশি নিয়মিত বিভিন্ন সহশিক্ষামূলক কর্মসূচির কারণে দেশজুড়ে সমাদৃত হয়ে আসছে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়।
এই অর্জনের পেছেনে অবদান রয়েছে বিদ্যালয়টির সাবেক-বর্তমান শিক্ষকমন্ডলীর পাশাপাশি সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদেরও। সকলের নিরলস পরিশ্রমে অর্জিত হয়েছে একেরপর এক সাফল্য।
বিদ্যালয়টিতে সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিশেলে রয়েছে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ, বিজ্ঞান গণিত ও আইসিটি ক্লাব, মিউজিক উইং, ফটোগ্রাফিক সোসাইটি এবং ডিবেটিং সোসাইটি।
সম্প্রতি বিদ্যালয়টিতে ‘টিজিবিসিয়ান ডিবেটিং সোসাইটি’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী আন্তঃশ্রেণী বিতর্ক উৎসব।
যুক্তি মানুষের সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। আর এই যুক্তির উপস্থাপনের মঞ্চ হল বিতর্কের মঞ্চ। বিতর্ক মানুষের মেধাশক্তির সাথে ব্যক্তিত্বের পরিস্ফুটনও করে।
বিতর্ক চর্চার এক অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। “যুক্তির সন্তাপে জ্বলুক মুক্তির সাঁঝবাতি” এই স্লোগান নিয়ে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ডিবেট ক্লাব ‘টিজিবিসিয়ান ডিবেটিং সোসাইটি’র উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে দুই দুইব্যাপী আন্তঃশ্রেণি বিতর্ক উৎসব।
২৫-২৬ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাল্টি পারপাজ হলরুমে দুই দিনব্যাপী এই বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত উৎসবে বিদ্যালয়ের দিবা ও প্রভাতি শিফটের মধ্যে কিছু চমকপ্রদ বিতর্কের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অভ্যাগত অতিথিরা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিনিয়ত প্রমাণ করে চলেছে। এরকম আয়োজন শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধা বিকাশে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আরও বেশি পরিমাণে যুক্তিসম্পন্ন, চৌকস ও সৃজনশীল মেধার অধিকারী করে তোলার লক্ষ্যে এসব আয়োজন বলে জানিয়েছে আয়োজক টিজিবিসিয়ান ডিবেটিং সোসাইটি সহ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এরকম আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।
এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন