তা ছাড়া এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ আনেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
এনামুল হক এলাকার ত্যাগী নেতা-কর্মীদের জন্য কাজ করেন না উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভবিষ্যতে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হলে বাগমারা আসনে আওয়ামী লীগের বিজয় সম্ভব নয়। তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্য যে কাউকে মনোনয়ন দিলে সবাই দলীয় প্রার্থীকে মেনে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। দলকে বিজয়ী করবেন। একই সঙ্গে মামলা ও হয়রানি থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাঁচাতে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহমদকেও প্রত্যাহারের দাবি জানান নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম, উপজেলার তাহেরপুর পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আকবর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউদ্দিন টিপু, বাগমারা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাহার আলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে সংসদ সদস্য এনামুল হক বলেন, ‘সব কটি মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ। আমি দলের নির্বাচিত সভাপতি ও সাংসদ। আমার বিরুদ্ধে দলের সাধারণ সম্পাদক এভাবে প্রকাশ্যে অভিযোগ আনতে পারেন না। প্রতি মাসে সাংগঠনিক সভা হয়। সেখানে কখনো এ ধরনের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। আমি বিষয়টি কেন্দ্রে জানাব।’ বিএনপি-জামায়াতের মদদপুষ্ট হয়ে তারা এ ধরনের অভিযোগ করছে বলে দাবি করেন এনামুল।