বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটিকে কেন কাজ থেকে বিরত রাখা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। বিসিবির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিসিবির গঠনতন্ত্রসংক্রান্ত এক মামলায় আপিলের রায়কে নিজেদের পক্ষে দাবি করে ২ অক্টোবর বার্ষিক সাধারণ সভা ও বিশেষ সাধারণ সভার তারিখ ঘোষণা করায় ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় এ রিট আবেদন করা হয়েছে।
গত ২৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট বিসিবির গঠনতন্ত্র সম্পর্কিত আপিলের রায় দিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, বিসিবির গঠনতন্ত্র এনএসসি সংশোধন করতে পারবে না। গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা বিসিবির হাতেই থাকছে। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে দেওয়া হাইকোর্টের রায়কেও সঠিক বলেছেন। এর আগে হাইকোর্টের রায়ে এনএসসির সংশোধিত গঠনতন্ত্রকে অবৈধ বলা হয়েছিল।
আইনি নোটিস সম্পর্কে জানতে চাইলে মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন, বিসিবি যে গঠনতন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে সেই গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট, তার মানে অবৈধ গঠনতন্ত্রের মাধ্যমে তারা নির্বাচিত হয়েছিল, সে কারণে তাদের নির্বাচনও অবৈধ। এবং অবৈধ নির্বাচনের কারণে তারা ক্রিকেটের কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করাটাও অবৈধ। ক্রিকেট বোর্ডের সমস্ত কার্যক্রম থেকে তাদের বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।