মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিেয়ে এসেছে প্রায় সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা। নৃশংসতার শিকার এসব রোহিঙ্গারা বর্তমানে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
তাদের স্বাস্থ্য সেবায় বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বোর্ড রুমে ‘দুর্যোগ ও মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি এবং বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা’ শীর্ষক এক সভায় সভাপতির বক্তৃতায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মহামারি ও দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্বের যে ৭৫টি দেশকে বিশ্ব ব্যাংক সহযোগিতা করার জন্য তালিকাভুক্ত করেছে বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম।
বাংলাদেশ অতীতে যেভাবে বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় সফল হয়েছে, তেমনি এবারও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা কাজেও সফল হবেবলেও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিশ্ব ব্যাংকের গ্রেডিং অনুযায়ী মানদণ্ড পাঁচ পয়েন্ট অর্জন করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গ্রেডিং বর্তমানে ২ দশমিক ৫ এ কথা উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমান অবস্থান অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যাংকের অনুদান পাওয়ার যোগ্য।
তবে এ অর্থ সফলভাবে ব্যয় করতে হলে বাংলাদেশের প্রস্তুতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে ৪ পয়েন্ট গ্রেডিংয়ে উন্নীত করতে হবে।
তিনি জানান, দক্ষ জনবল সৃষ্টি, উন্নতমানের ল্যাবরেটরি স্থাপন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ, প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধি ও যন্ত্রপাতির আধুনিকায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সকল ধরণের মহামারি ও দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত করে তুলতে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রমে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।
বিশ্ব ব্যাংকের হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের মুকেশ চাওলা, বিশ্ব বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রতিনিধি ড. এম পারানিথরন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশিদ, বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট বুশরা বিনতে আলমসহ মন্ত্রণালয়, বিশ্ব ব্যাংক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মুকেশ চাওলা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যার্থে বাংলাদেশের আবেদনকে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে। বাসস।