অনেক সময়ই অফিসের বসরা নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না। বিশেষজ্ঞের মতে, এ ক্ষেত্রে তারা আবেগপ্রসূত বুদ্ধিমত্তা হারিয়ে ফেলেন। ন্যাশনাল ওয়ার্ক প্লেস বিশেষজ্ঞ লিন টেইলর বলেন, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজাররা অভিজ্ঞতা আর জ্ঞানের আলোকে উদ্ভাসিত থাকতে পারেন। কিন্তু তাদের এই উজ্জ্বল দিকটি নিমেষেই অন্ধকার করে দিতে পারে বিপজ্জনক আচরণ। এসব আরণের অপেশাদারত্ব ফুটে ওঠে। তাই অনেকে ভালো যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও এসব আচরণ তাদের অপেশাদার ও শিশুসুলভ বলে প্রতীয়মাণ করতে পারে।
অফিসে এ ধরনের বসদের মাঝে তাঁর কর্মী বাহিনীর প্রতি নম্রতা, সততা এবং শ্রদ্ধাবোধ থাকে না। ক্ষমতার আসনে বসলে তাদের মনে একটি বিষয়ই কাজ করে। তা হলো- এ চেয়ারে বসার পেছনে তাঁদের অনন্য যোগ্যতা রয়েছে তাঁদের।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, এ ধরনের বসদের ছয়টি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে। এগুলো হলো- এরা আত্মকেন্দ্রিক, একগুঁয়ে, কর্মীদের কাছ থেকে অতি চাহিদা, হঠাৎ প্রয়োজনে নিপীড়ন চালাতে স্বতঃস্ফূর্ত থাকা, কর্মীদের প্রতিনিয়ত বাধা প্রদান এবং ক্রোধে পাগল হয়ে যাওয়া। এই মানুষগুলো প্রতি পাঁচ বছরে আরো বেশি খারাপ পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যান ৫০ শতাংশ হারে। এখানে এই পরিস্থিতি সময়ের সঙ্গে কিভাবে বদলায় তা একটি তালিকায় তুলে ধরা হয়েছে।
ওই গবেষণায় আরো দেখা গেছে, বসদের এমন আচরণের কারণে কর্মীরা কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, বসের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ থাকে না এবং মাঝে মধ্যেই অনিয়ন্ত্রিত আচরণ করেন।
এ ধরনের বসরা কর্মীদের চোখে ‘ভয়ংকর বস’ হিসেবেই পরিচিতি পান। তারা যেমন নিজের স্ট্রেস থেকে জন্ম নেওয়া বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন, তেমনি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তার বাহিনীকে কাছে পান না। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার