তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নারী নির্যাতনের মূল কারণ হলো বৈষম্য। এ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, পুরুষরা নারীকে শ্রদ্ধা করে মা ও সম্মান করে বোন বলে সম্বোধন করেন। কিন্তু সম্পদে সমান ভাগ দেন না। আর যতদিন এ বৈষম্য নিরসন না হবে ততদিন নারীর প্রতি নির্যাতন বন্ধ হবে না। ২৫ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে পারিবারিক সহিংসতা: ব্যক্তিগত নয়, রাজনৈতিক শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ ও মহিলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম। সভাপতিত্ব করেন উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান তানিয়া হক।
এতে আরো আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিকুল আলম ভূঁইয়া ও উইমেন অ্যান্ড স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আয়েশা বানু। নারীদের তেঁতুলের সঙ্গে তুলনাকারী আল্লামা শাহ শফীকে ধর্মান্ধ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের ফতোয়াবাজ হুজুরদের কাছ থেকে আমাদের সর্তক থাকতে হবে। নারীর প্রতি নির্যাতন বন্ধ ও তাদের অধিকার আদায়ে এই তেঁতুল হুজুরদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদও নারী নির্যাতনের আরেকটি কারণ ধর্মের অপব্যাখ্যা। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানীরা ধর্মের নামে অপপ্রচার এবং নারীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে বাংলাদেশকে আত্মসমর্পনে বাধ্য করাতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, কিন্তু এ দেশের নারীরা তখন স্বাধীনতার জন্য প্রাণ ও ইজ্জত দিয়েছে, আত্মসমর্পন করেনি। তাই আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধে পুরুষের চেয়ে নারীর অবদান একমাত্রা বেশি। কারণ পুরুষরা দেশ রক্ষায় যুদ্ধ করেছে। আর নারীরা দেশ ও ইজ্জত রক্ষায় যুদ্ধ করেছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে পুরুষ রাজাকার ছিল, কিন্তু কোন নারী রাজাকার ছিল না। এটা যেমন আমাদের জন্য, তেমনি নারীর জন্যও গর্বের বিষয়। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এখনও নারীদের পণ্য বা বস্তু হিসাবে দেখা হয়। যতদিন পুরুষদের এ মনোভাবের পরিবর্তন না আসবে, ততদিন নারী নির্যাতন বন্ধ হবে না। পথে-ঘাটে নারী উত্ত্যক্তকারীদের ছোবল মারা সাপ বলে উল্লেখ করে তিনি ওইসব বখাটেদের বিরুদ্ধে তুই বখাটে, নিপাত যা, বিদায় হ বলে নারীদের সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান। একইভাবে ফতোয়াবাজ তেঁতুল হুজুরদের বিরুদ্ধেও তুই ধর্মান্ধ, তুই ফতোয়াবাজ, নিপাত যা, বিদায় হ বলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
নারী নির্যাতন বন্ধে বাল্যবিবাহ ও ধর্মান্ধ জঙ্গিবাদদের রুখে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে অনেক আইন আছে, কিন্তু বাস্তবায়ন নেই। আন্দোলনের মাধ্যমে এসব আইন বাস্তবায়নে সরকারকে বাধ্য করাতে হবে। তিনি বলেন, নারীর প্রতি নির্যাতন বন্ধে আইনের হালনাগাদ ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও আন্দোলন করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতি অফিসে নারীর অভিযোগের জন্য গোপন বাক্স রাখার বিধান চালুর প্রস্তাব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বিধান চালু হলে নারীর প্রতি নির্যাতন বা সহিংসতা অনেকটাই বন্ধ হয়ে আসবে। তিনি সরকারি অফিসে এ বিধান চালুর উদ্যোগ নিচ্ছেন উল্লেখ করে বলেন, অভিযোগ দেখে উত্ত্যক্তকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এতে আরো আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিকুল আলম ভূঁইয়া ও উইমেন অ্যান্ড স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আয়েশা বানু। নারীদের তেঁতুলের সঙ্গে তুলনাকারী আল্লামা শাহ শফীকে ধর্মান্ধ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের ফতোয়াবাজ হুজুরদের কাছ থেকে আমাদের সর্তক থাকতে হবে। নারীর প্রতি নির্যাতন বন্ধ ও তাদের অধিকার আদায়ে এই তেঁতুল হুজুরদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদও নারী নির্যাতনের আরেকটি কারণ ধর্মের অপব্যাখ্যা। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানীরা ধর্মের নামে অপপ্রচার এবং নারীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে বাংলাদেশকে আত্মসমর্পনে বাধ্য করাতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, কিন্তু এ দেশের নারীরা তখন স্বাধীনতার জন্য প্রাণ ও ইজ্জত দিয়েছে, আত্মসমর্পন করেনি। তাই আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধে পুরুষের চেয়ে নারীর অবদান একমাত্রা বেশি। কারণ পুরুষরা দেশ রক্ষায় যুদ্ধ করেছে। আর নারীরা দেশ ও ইজ্জত রক্ষায় যুদ্ধ করেছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে পুরুষ রাজাকার ছিল, কিন্তু কোন নারী রাজাকার ছিল না। এটা যেমন আমাদের জন্য, তেমনি নারীর জন্যও গর্বের বিষয়। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এখনও নারীদের পণ্য বা বস্তু হিসাবে দেখা হয়। যতদিন পুরুষদের এ মনোভাবের পরিবর্তন না আসবে, ততদিন নারী নির্যাতন বন্ধ হবে না। পথে-ঘাটে নারী উত্ত্যক্তকারীদের ছোবল মারা সাপ বলে উল্লেখ করে তিনি ওইসব বখাটেদের বিরুদ্ধে তুই বখাটে, নিপাত যা, বিদায় হ বলে নারীদের সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান। একইভাবে ফতোয়াবাজ তেঁতুল হুজুরদের বিরুদ্ধেও তুই ধর্মান্ধ, তুই ফতোয়াবাজ, নিপাত যা, বিদায় হ বলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
নারী নির্যাতন বন্ধে বাল্যবিবাহ ও ধর্মান্ধ জঙ্গিবাদদের রুখে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে অনেক আইন আছে, কিন্তু বাস্তবায়ন নেই। আন্দোলনের মাধ্যমে এসব আইন বাস্তবায়নে সরকারকে বাধ্য করাতে হবে। তিনি বলেন, নারীর প্রতি নির্যাতন বন্ধে আইনের হালনাগাদ ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও আন্দোলন করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতি অফিসে নারীর অভিযোগের জন্য গোপন বাক্স রাখার বিধান চালুর প্রস্তাব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বিধান চালু হলে নারীর প্রতি নির্যাতন বা সহিংসতা অনেকটাই বন্ধ হয়ে আসবে। তিনি সরকারি অফিসে এ বিধান চালুর উদ্যোগ নিচ্ছেন উল্লেখ করে বলেন, অভিযোগ দেখে উত্ত্যক্তকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।