বাংলাদেশের বোলারদের দিনটা শুরু হয়েছিল ভালোই। লাঞ্চের খানিক পরই ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) আমন্ত্রিত একাদশের স্কোর হয়ে গিয়েছিল ৫ উইকেটে ১১০। লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দারুণ ব্যাটিংয়ে সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্বাগতিকেরা। বেনোনির উইলোমুর পার্কে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ৮ উইকেটে ৩১৩ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে সিএসএ আমন্ত্রিত একাদশ।
৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে বিনা উইকেটে ৬ রান করে। কাল চোট পাওয়া তামিম ইকবালের জায়গায় আজ ওপেন করতে নেমেছেন লিটন দাস। তাঁর সঙ্গী ইমরুল কায়েস। লিটন ২ ও ইমরুল অপরাজিত ৪ রানে।
৩৬ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর চতুর্থ উইকেটে হামজা-ক্লাসেনের ৫৩ রানের জুটির সৌজন্যে ধাক্কাটা সামলায় সিএসএ একাদশ। ২১ রানের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজ দুই উইকেট তুলে নিলে ১১০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কাঁপতে থাকে সিএসএ একাদশ। ধারাবাহিকতা যখন ধরে রাখার কথা, তখন লাগামটা আলগা হয়ে গেছে। যেভাবে শুরুতে চাপে রেখেছিলেন, সেটি পরে আর ধরে রাখতে পারেননি মোস্তাফিজ-তাসকিনরা। ব্রিৎজকে-ক্রিস্টেনসেনের ষষ্ঠ, ক্রিস্টেনসেন-বার্গের সপ্তম ও বার্গ-প্রিটোরিয়াসের অষ্টম—এই তিনটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি লিড এনে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশকে। সর্বোচ্চ ৬২* রান এসেছে আটে নামা ভন বার্গের ব্যাট থেকে।
প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনটা ছিল বোলারদের ঝালিয়ে নেওয়ার দিন। সেটি কতটা ভালো হলো, সেটি নিয়ে প্রশ্ন আছে। সবচেয়ে সফলতম বোলার শফিউল ইসলাম ৬১ রানে ২ উইকেট পেলেও ছিলেন খরুচে। ওভারে ৫-এর বেশি রান দিয়েছেন। সিএসএ একাদশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬০ রান করা হামজাকে ফেরালেও তাসকিন আহমেদও ওভার-পিছু দিয়েছেন ৫ রান। মোস্তাফিজুর রহমান, শুভাশিষ রায়, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন ও তাইজুল ইসলাম প্রত্যেকে পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।
শুরুতে ভালো করে পরে সেটি না ধরে রাখতে পারাটা হয়তো কোর্টনি ওয়ালশকেও ভাবাচ্ছে। ম্যাচ চলার সময়ই বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ বললেন, ‘আমাদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। এটাই সাফল্যের চাবিকাঠি। যদি ধারাবাহিক ভালো জায়গায় বোলিং করতে পারেন, তাহলে সফল হবেন। দল হিসেবে খেলোয়াড়েরা ভালো করতে আশাবাদী। তাদের ধারাবাহিক ও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে হবে। এটাই আমরা চাইছি।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৩০৬/৭ ডি. ও ৩ ওভারে ৬/০ (লিটন ২*, ইমরুল ৪*)।
দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশ ১ম ইনিংস: ৯১ ওভারে ৩১৩/৮ ডি. (ভন বার্গ ৬২*, হামজা ৬০, ক্রিস্টেনসেন ৫৩, ব্রিৎজকে ৪৪, প্রিটোরিয়াস ৪২; শফিউল ২/৬১, শুভাশিস ১/২৭, মোস্তাফিজ ১/২৮, তাইজুল ১/৪৭, মিরাজ ১/৫৬, তাসকিন ১/৭০)।