অং সান সু চি। ১৯৮৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ২১ বছরের মধ্যে ১৫ বছরই তাকে গৃহবন্দী অবস্থায় কাটাতে হয়; হয়ে উঠেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রখ্যাত রাজবন্দীদের একজন।
ফলে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নির্যাতন ও নৃশংসতার বিপক্ষে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর হিসেবেই বিশ্বে সমাদৃত হয়েছেন তিনি। পেয়েছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রীর খেতাবও। নোবেল শান্তি পুরস্কার থেকে শুরু করে বিশ্বের বড় অ্যাওয়ার্ড ও বিভিন্ন সম্মানসূচক পদমর্যাদা। নিম্নে এক নজরে তার প্রাপ্ত অ্যাওয়ার্ডগুলোর তুলে ধরা হল-নোবেল শান্তি পুরস্কার: ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান অং সান সুচি। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কর্তৃক সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর হিসেবেই তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
রাফটো পুরস্কার: মানবাধিকা বিষয়ক অ্যাওয়ার্ডটি নরওয়ে থেকে প্রদান করা হয়। ১৯৯০ সালে তাকে এ পদক প্রদান করা হয়।
শাখারভ পুরস্কার: চিন্তার স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষায় এ পুরস্কার দিয়ে থাকে ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট। এ পদকটিও ১৯৯০ সালে পেয়েছিলেন অং সান সু চি।
এছাড়া জওহরলাল নেহরু পুরস্কার, আন্তর্জাতিক সাইমন বলিভার পুরস্কার, ওলফ পালমে পুরস্কার, ভগবান মহাবীর বিশ্বশান্তি পুরস্কার, কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল, যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন ইউনিসন অ্যাওয়ার্ড, ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির সম্মানসূচক ডিগ্রি। কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্বসহ আরও বেশ কিছু পদক ও অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন অং সান সু চি।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অং সান সু চির সরকারের আমলেই সবচেয়ে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছে আরাকানের নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর। আর এই ইস্যুতে তার ভূমিকা সম্পূর্ণ বিপরীত ও বিতর্কিত। বরং তিনি সাফাই গাইছেন সেনাবাহিনীর নির্যাতনের পক্ষে। আর এর ফলে দাবি উঠছে তার এসব পদক ও অ্যাওয়ার্ড ফিরিয়ে নেওয়ার।
ইতোমধ্যে অং সান সু চিকে দেওয়া সম্মাননা স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন ইউনিসন। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সংস্থাও সুচি’র সম্মানসূচক ডিগ্রি ও পদ ফিরিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।
(উইকিপিডিয়া ও দ্য গার্ডিয়ান অবলম্বনে আফজাল জাহান ইমরান)