লালমনিরহাট প্রতিনিধি;
লামনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় সুফিয়া বেগম (৪৫) নামের ৩ সন্তানের এক জননী বাড়ির পাশের একটি গাছের ডালে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হাউহাটি এলাকা থেকে ঐ নারীর মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
মৃত সুফিয়া এলাকার মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে মজগার আলীর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে মজগারের বাড়ির বাহিরে একটি গাছে গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় সুফিয়ার লাশ ঝুলতে দেখলে পাটগ্রাম থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে থানা পুলিশ সুফিয়ার লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুফিয়ার এক প্রতিবেশি জানিয়েছেন, সুফিয়া বেগমের নিজ নামে ২৫ শতাংশ জমি ছিল। এই জমিটুকু তার স্বামী মজগার বিক্রি করতে চাইলে সুফিয়া আপত্তি জানায় এবং তার সন্তানদের নামে জমি লিখে দেয়। এতে মজগার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে সুফিয়াকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করে। সুফিয়া বেগম মজগারের দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি গত ৬ মাস ধরে মজগারের বাড়িতে আছেন। সুফিয়া নিজেও ২ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান নিয়ে দ্বিতীয় বার মজগারের সঙ্গে বিয়েতে বসেন। সুফিয়ার প্রথম স্বামীর নাম ফরিদ উদ্দীন।
এদিকে এ ঘটনার পূর্ব থেকেই মজগার পলাতক বলে জানা গেছে।
বাউরা ইউপির ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য ফুলজান বেগম জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ থানায় নেয়া হয়েছে। থানা পুলিশ বিষয়টি দেখছেন।
পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবনি শংকর কর জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে সুফিয়া আত্মহত্যা করেছেন। লাশ লালমনিরহাট মর্গে পাঠানো হবে। জমি-জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্বামী মজগারের সাথে জগড়া বিবাদ থেকে এই মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটতে পারে জানান ঐ ওসি।