ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ১১৩ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সমৃদ্ধ দেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়। গতবছর প্রতিষ্ঠানটি দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছিল। এবছরও প্রতিষ্ঠানটি রংপুর বিভাগে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখে।
নিয়মতান্ত্রিক পাঠদানের পাশাপাশি নিয়মিত বিভিন্ন সহশিক্ষামূলক কর্মসূচির কারণে দেশজুড়ে সমাদৃত হয়ে আসছে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়।
এই অর্জনের পেছেনে অবদান রয়েছে বিদ্যালয়টির সাবেক-বর্তমান শিক্ষকমন্ডলীর পাশাপাশি সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদেরও। সকলের নিরলস পরিশ্রম আর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অর্জিত হয়েছে একের পর এক সাফল্য।
বিদ্যালয়টিতে সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিশেলে রয়েছে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ, বিজ্ঞান গণিত ও আইসিটি ক্লাব, ডিবেটিং সোসাইটি, মিউজিক উইং।
প্রতি ৫ বছর অন্তর অন্তর ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয় ম্যাগাজিন “মালঞ্চ”। ম্যাগাজিনটি তৈরিতে বিদ্যালয়ের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদের সদস্যদের পাশাপাশি আলোকচিত্রীর প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক।
বিদ্যালয়ে হাতেগণা ক’জন আলোকচিত্রের কাজ জানে। আর সেখান থেকেই বিদ্যালয়ে একটি ফটোগ্রাফিক সোসাইটির গঠনের অণুপ্রেরণা পায় তারা। মূলত সুদক্ষ আলোকচিত্রশিল্পীদের সহচার্যে যাতে অনেকেই ফটোগ্রাফি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানমালা ও কর্মসূচিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই যেন আলোকচিত্রের সকল কাজ করতে পারে এই উদ্দেশ্যেই একটি ফটোগ্রাফিক সোসাইটির প্রয়োজন। এ ইচ্ছের জেরেই “আত্মার সাধনা! আমরা করব ক্যামেরার লেন্সে, সম্মিলিত প্রয়াসে” স্লোগান নিয়ে শুরু হয় “টিজিবিএইচএস ফটোগ্রাফিক সোসাইটি” (TGHBS Photographic Society) এর পথচলা।
আলোকচিত্র ব্যাপারটিই অন্যরকম। একজন আলোকচিত্রী অর্থে একজন শিল্পী। যিনি ক্যামেরার লেন্সে এই সুন্দর পরিবেশ, এই সুন্দর অপরুপ প্রকৃতি, দেশকে দেখেন। হতে পারে তার হাতে রয়েছে দামী একটি ক্যামেরা কিংবা মান্ধাতার আমলের একটি মোবাইল ফোন।
আজ থেকে তারা ক্যামেরার লেন্সে শুধু নিজে এই অপরুপ দেশকে দেখবে না, বরং পুরো সমাজকে দেখাবে আমাদের দেশের সৌন্দর্য। আর বিদ্যালয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম চালিয়ে যাবে এই সংগঠন। লক্ষ্য শুধু একটাই, শিল্পীমন তৈরি করা।
এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন