প্রায় এক সপ্তাহ আগে বিদায় নিয়েছে ভাদ্র মাস। আজ ৫ আশ্বিন। শরতের এই প্রকৃতিতে চলছে পুরোদমে বর্ষার মেজাজ। আকাশে কালো মেঘের রাশি। মেঘগুলো জমাট বেঁধে ঘন হলেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামছে। মেঘের হাঁকডাক কমলেও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ঝরছে। ঝোড়ো হাওয়ায় কয়েক দিন ধরে উত্তাল বঙ্গোপসাগর। এ অবস্থা আরও দুই দিন থাকতে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে আজ বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হয়েছে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদী কোর্টে। এ সময় রাজধানী ঢাকায় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১৩ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগর থেকে মেঘমালা আসছে দেশের উপকূলের দিকে। উত্তাল ঢেউ উঠছে দেশের নদ-নদীগুলোয়। গত রোববার থেকে এই অবস্থা রয়েছে সাগর, নদী আর আকাশে। আর এ কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলো আজ বুধবার ৩ নম্বর সতর্কতাসংকেত এবং নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতাসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে আজ পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। যদি তা-ই হয়, তাহলে বিকেলের পর ৩ নম্বর সতর্কতাসংকেত উঠিয়ে ফেলার সম্ভাবনা আছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক আবহাওয়াবিদ জানিয়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ জন্য চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতাসংকেত দেখিয়ে যেতে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে হবে।
এ ছাড়া দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ জন্য এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতাসংকেত দেখিয়ে যেতে হবে।