আরেক উগ্রবাদী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) দুর্বল হচ্ছে। এই সুযোগে হামজা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের জিহাদিদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করতে পারেন বলে অনেক বিশ্লেষক ধারণা করছেন।
কয়েক বছর ধরে হামজা বিন লাদেনকে আল-কায়েদার একজন নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কমব্যাটিং টেররিজম সেন্টার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আল-কায়েদা বিশেষজ্ঞ আলী সাফওয়ান লিখেছেন, হামজার বয়স এখন ৩০-এর কাছাকাছি। বাবার প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাঁকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। আলী সাফওয়ানের বক্তব্য হলো, আইএসের ‘খিলাফত’ পতনের দ্বারপ্রান্তে। এই সুযোগে বৈশ্বিক উগ্রবাদে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ব্যক্তিত্ব হতে পারেন হামজা।
বিন লাদেনের ২০ সন্তানের মধ্যে হামজা ১৫তম। শৈশব থেকেই তাঁকে বাবার মতো করে গড়ে তোলা হয়েছে। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণের জন্য তাঁকে প্রস্তুত করা হয়েছে। নাইন-ইলেভেন হামলার আগে বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন হামজা। বিন লাদেনকে আর কখনো দেখেননি তিনি। হামজা প্রথমে আফগানিস্তানের জালালাবাদ, সেখান থেকে ইরানে যান পরিবারের অন্যদের সঙ্গে। সেখানে কয়েক বছরের জন্য গৃহবন্দী করে রাখা হয় তাঁদের। এরপর থেকে আর কোনো হদিস নেই হামজার। অবশ্য বিন লাদেন পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে থাকার সময় হামজার সঙ্গে চিঠিতে যোগাযোগ হতো।
২০১৫ সালের আগস্ট মাসের একটি অডিও বার্তায় হামজা তাঁর অনুগামীদের প্রতি আহ্বান জানান আল-কায়েদার সংগ্রামকে ওয়াশিংটন, লন্ডন, প্যারিস ও তেল আবিবে নিয়ে যাওয়ার জন্য। হামজা বিন লাদেনকে সন্ত্রাসীদের কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত তালিকায় হামজা বিন লাদেনকে ‘বিশেষ বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ বলা হয়েছে। এর আগে হামজার সৎভাই সাদকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
পরের বছর প্রকাশিত আরেকটি অডিও বার্তায় হামজা ঘোষণা করেন, উই আর অল ওসামা (আমরা সবাই ওসামা)৷ সেই বার্তাতেই হামজা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেন যে তাঁর বাবাকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া হবে।