মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের দুর্দশার কথা আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে বিশ্বনেতাদের স্ত্রীদের কাছে চিঠি লিখেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানের স্ত্রী ফার্স্টলেডি এমিনি এরদোগান।
শনিবার পাঠানো সেই চিঠিতে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নেমে আসা দুর্দশার দিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে, যারা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচারে শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
খবর তুর্কি রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির।এমিনি এরদোগান বলেন, ‘বিশ্ব নেতাদের স্ত্রী হিসেবে মানবিক প্রচেষ্টা চালানোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারি বলে আমি আশা করি। একজন মা, একজন নারী এবং একজন মানুষ হিসেবে আমি মনে করি, আমাদের এমন একটি বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে যেখানে সকলে কোনো ধরনের জাতিগত ও ধর্মীয় ভেদাভেদ ছাড়া বসবাস করতে পারবে। ’
রোহিঙ্গা সংকটের কথা তুলে ধরে চিঠিতে তুর্কি ফার্স্টলেডি আরও লিখেছেন, চলমান মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের কান বন্ধ করে রেখেছে এবং না দেখার ভান করছে- এটা খুব লজ্জাজনক।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশা নিজ চোখে দেখতে গত ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসেন এমিনি এরদোগান। সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার অসংখ্য নারী, যাদের শিশু ও স্বামীদের জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে চোখের সামনে। তাদের দুর্দশার কথা শোনা ছিল ভীষণ কষ্টের। আমি কখনো ওই নারী ও শিশুদের কথা ও বেপরোয়া চাহনি ভুলতে পারব না।