বৌদ্ধশাসিত মিয়ানমার থেকে এ পর্যন্ত চার লাখ মুসলিম রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে ৬০ ভাগই শিশু।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যার কবলে পড়ে এদের অনেকেই বাবা-মা হারিয়ে এতিম হয়েছে। বাংলাদেশমুখী দলের সঙ্গে এসব শিশু জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার ছেড়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে স্থাপিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে এখন তারা পড়ছে পাচার হওয়ার ঝুঁকিতে।
পাচারচক্র রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সক্রিয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ প্রতিদিনই নিখোঁজ হচ্ছে শিশু। সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিশু পাচারকারী সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান এ খবর প্রকাশ করেছে। শনিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনের সঙ্গে তারা বেশ কয়েকটি ছবিও দিয়েছে। তাতে দেখা গেছে, এক রোহিঙ্গাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করছে উত্তেজিত জনতা। যাদের বেশিরভাগই অল্পবয়সী তরুণ। মারধরের এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
সানের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১০ দিনের মধ্যেই কক্সবাজারের কুতুংপালংয়ের ২০০০ একর জমিতে বড় আকারের শরণার্থী শিবির নির্মাণ করছে বাংলাদেশ। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব শাহ কামাল বলেন, চার লাখ রোহিঙ্গার জন্য ১৪ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র খুলবে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে ছয় শরণার্থী পরিবার থাকবে।