ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তদন্ত, যাচাই-বাছাইকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পুরাতন মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তার স্ত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়ন কমান্ডার ফারুক মিয়ার পুত্র ও পুত্রবধু। আহতরা বর্তমানে ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফারুক মিয়ার পুত্র ও পুত্রবধুর উপর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুলের সন্তানেরা হামলা করেন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২ মে চাড়োল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিমউদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে উপজেলার ৩১জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকা দিয়ে তদন্তের জন্য লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
এরই প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি অভিযোগ পত্রটি গ্রহণ করেন।
পরে ৪ জন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার তদন্ত মন্ত্রী নিজেই করবেন বলে জানান তিনি।
এডিসি ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং উপজেলা কমান্ডারকে নিয়ে ফজলে আলমসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়া হয়। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শফিকুল ইসলামকে আহবায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সেই কমিটি শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করা শুরু করে আর সেই সময়ে এ সংঘর্ষ ঘটে।
অভিযোগে জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় অর্থের বিনিময়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে সমাজ কল্যাণ ও মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্ট হতে ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা ভোগ করে আসছে।
অভিযুক্তরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করছে। ইতোমধ্যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ২৭ জনকে তদন্ত কমিটির আহবায়ক নোটিশ পাঠিয়েছেন।
তবে সংঘর্ষের ঘটনার পর কোন মুক্তিযোদ্ধা ঘটনার কথা প্রকাশ করতে রাজি হয়নি। তাদের আশংকা মুখ খুললে যদি আমাদেরকের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় পড়তে হয়।
ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডর বদিউজ্জামান বদর জানান, তদন্ত চলাকালিন সময়ে বাহিরে সংঘর্ষের ঘটনা হয়েছে শুনেছি। আমরা এখনো তদন্তের কাজ করে যাচ্ছি।
এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন