এম এ কাহার বকুল: লালমনিরহাট প্রতিনিধি; লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুরে গভীর রাতে সরকারী জায়গার গাছ চুরি করে কর্তনের সময় চোর সন্দেহে আটক করলেন বেরসিক জনতা। গাছ সহ আটক ব্যক্তিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সোপর্দ্দ করলে চলে প্রভাবশালী মহলের দেন-দরবার। অবশেষে ছেড়ে দিলেন চেয়ারম্যান গাছসহ আটক ব্যক্তিকে।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাটস্থ দূর্গামন্দিরের সামনে সরকারী জায়গার একটি আমগাছ গত ১৩ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী উত্তোলন করার সময় কতিপয় এলাকাবাসি হাতেনাতে আটক করে চন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গাছ সহ কথিত ব্যক্তিকে সোপর্দ করেন। রাত থেকে চলে দেন-দরবার। অবশেষে প্রভাবশালী মহলের চাপের মূখে মন্দির কমিটি গাছটি বিক্রয় করেছে মর্মে দায় স্বীকার করলে চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম গাছসহ আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেন।
এ ব্যাপারে কথিত গাছ কর্তক মোহাম্মদ আলীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি গাছ চুরি করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন “আমি আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা জোনাব আলীর কাছ থেকে নগদ টাকায় গাছটি কিনে নিয়েছি।” চুরি করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে যান। গভীর রাতে গাছ কাটার ব্যাপারে বলেন “দিনের বেলায় লোকজনের ভীড়ের কারনে রাতে গাছটি কাটতে কাটতে গভীর রাত হয়ে যায়।”
ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ‘জোনাব আলী ও আবু সাঈদ মন্দির কমিটি গাছটি বিক্রি করেছেন মর্মে সুপারিশ করায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে ছেড়ে দিতে হয়েছে।’ মন্দির কমিটির সেবায়েত দুলাল চন্দ্র সাহা গাছ বিক্রির কথা স্বীকার করেন।