প্রতিবছরের মতো এবারও ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এসময় তিনি বলেন, নতুন বই হাতে পেলে শিক্ষার্থীদর মধ্যে বিরাট উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়।
নতুন বই ছেলেমেয়েদের স্কুলমুখী হতে উদ্বুদ্ধ করছে। এখন সকল শিশুকে স্কুলে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। যদিও ঝরে পড়া এখনও চ্যালেঞ্জ।বৃহস্পতিবার যশোর নতুন উপশহর ক্রীড়া উদ্যানে ৪৬তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধনকালে একথা বলেন তিনি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক এসএম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন।
এছাড়া কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডেও চেয়ারম্যান প্রফেসর মাহাবুবুর রহমান, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম গোলাম কিবরিয়া তাপাদার, মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম সায়েফ উল্লাহ্, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও যশোরের জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল আলীম।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মান ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তবে আমরা যে মানে পৌঁছাতে চাই, সেটা হয়ত হচ্ছে না। বর্তমানে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা সারা জগতের চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাধীন দেশের উপযোগী একটি শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। তিনি বলেন, শিক্ষার গুণগত মান, নৈতিক মূল্যবোধ বৃদ্ধির জন্য আরো কাজ করতে হবে। -বাসস