স্মার্টফোন চোরের কাহিনী

তথ্যপ্রযুক্তি
image_155715.smartphoneযুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর ১৯ বছর বয়সী স্মার্টফোন চোর গ্রেগ। তিনি একে একে পাঁচটি আইফোন চুরি করেছেন। তার মধ্যে এক দিনেই চুরি করা দুটি আইফোন রয়েছে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে সিনেট।
তার শেষ চুরি ছিল সান ফ্রান্সিসকোর একজন ঘুমন্ত অধিবাসীর কাছ থেকে চুরি করা। সে সময় গ্রেগ মনে করেন তিনি আইফোন ৫ চুরি করেছেন। যদিও বাস্তবে তিনি আইফোন ৪ চুরি করেছিলেন। এরপর অবশ্য তিনি ধরা পড়েন এবং তাকে সংশোধনাগারে যেতে হয়। এটা ছিল স্মার্টফোন চোর হিসেবে তার প্রথমবার ধরা পড়া।
সংশোধনাগারে গিয়ে তিনি স্মার্টফোন চোর হিসেবে তেমন একটা আলাদা ছিলেন না। সেখানকার রক্ষীরাও তার এ চুরিতে অবাক হননি। তিনি সেখানে ঢোকামাত্র রক্ষীরা জিজ্ঞাসা করেন, ‘একটা মোবাইল ফোন, ঠিক?’
যুক্তরাষ্ট্রে স্মার্টফোন চুরি অতি সাধারণ ঘটনা। চোরদের অতি প্রিয় স্মার্টফোন। একে মহামারি হিসেবেই চিহ্নিত করছেন সরকারি কর্মকর্তারা। প্রতি ১০জনে একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী চুরির শিকার হয়েছেন।
চুরি যাওয়া এ স্মার্টফোনগুলোর অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহার করা যায়না। কিন্তু পরবর্তীতে এগুলো বিদেশে চলে যায়, যা সেখান আনলক করে ব্যবহৃত হয়।
এ চুরি ঠেকানোর জন্য নানা উপায়ের কথা ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে ক্রেতা সেজে বহু স্মার্টফোন চোরকে ধরা হয়েছে। তবে এতে সমাধান মিলছে না চুরির। ফলে অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন ‘কিল’ সুইচ তৈরির কথা। তারা বলছেন, স্মার্টফোনটি কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না, এমনটা জানলে কেউ চুরি করতে আগ্রহী হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *