‘মানবতার এ সঙ্কট চলতে পারে না’

Slider জাতীয় সারাবিশ্ব

82804_121

 

 

 

 

 

 

রোহিঙ্গা মুসলিমরা কি ধরণের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তা স্বচক্ষে দেখলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি মিশন প্রধানরা। সীমান্ত পরিদর্শনের পর কুটনীতিকরা এক বাক্যে বললেন, মানবতার এ সঙ্কট চলতে পারে না। আজ সকাল থেকে দুপ্রু পর্যন্ত বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন ৪৩ দেশের রাষ্ট্রদূত এবং চারটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান। তারা সেখানে প্রত্যক্ষ করেন, মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সহিসংতায় পালিয়ে আসা ৩ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা কিভাবে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে কিভাবে পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে। নো ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থানরত হাজার হাজার রোহিঙ্গা কিভাবে বাংলাদেশে ঢোকার প্রাণপন চেষ্টা করছে সেটাও দেখেছেন তারা। সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গারা কিভাবে আক্রান্ত হচ্ছে সেটাও তাদের সামনে তুলে ধরা হয়।
এ সময় কুটনীতিকদের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র মো. শাহরিয়ার আলমসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উইংয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রীলঙ্কা, লিবিয়া আর উত্তর কোরিয়া ছাড়া বাংলাদেশর সমস্ত কুটনৈতিক মিশনের প্রধানরা রোহিঙ্গা পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখতে উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রী কুটনীতিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ বার আপনারা স্বচক্ষে দেখলেন। এতোদিন মিডিয়ায় দেখেছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সব সময়ই আমাদের পাশে ছিল। আমাদের প্রত্যাশা স্বচক্ষে দেখার পর আন্তর্জাতিক মহল আমাদের পাশে আরো জোরালোভাবে থাকবে।
ঢাকাস্থ ডাচ রাষ্ট্রদূত এই পরিস্থিতিতে ভয়াবহ উল্লেখ, মানবতার এ সঙ্কট চলতে পারে না। এর রাজনৈতিক সমাধান জরুরি। বৃটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক বলেন, আমি দেখেছি মানবতা এখানে কিভাবে সঙ্কটে আছে। আমরা চাই এই সঙ্কটের সমাধান হোক। চীন রাষ্ট্রদূত মা মিন চিয়াং বলেন, সমাধান হতে হবে, সমাধান সামনে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, জোয়েল রিফম্যানও এ সঙ্কটের সমাধান চেয়েছেন। ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমা কুটনৈতিক সম্প্রদায়ের অন্যান্য রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অভিন্ন সুরেই তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বলেন, এটি মানবতার সঙ্কট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *