রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে এবং তাদের ত্রাণ সহায়তা দিতে মঙ্গলবার বিএনপি’র একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজার এসে পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার পৌঁছেই হোটেল লং বিচের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
এতে প্রতিনিধি দলের প্রধান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাস বলেছেন, বাংলাদেশ আজ কঠিন বিপর্যয় মোকাবেলা করছে। তিন মাস ধরে চলে আসা বন্যার সাথে এখন যুক্ত হয়েছে প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারের চাপিয়ে দেয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা। এই বিপর্যয় রুখতে জাতীয় ঐক্য দরকার।তিনি বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর মায়নমার বাহিনীর অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষন, জাতিগত নির্মূল ইতিহাসের সকল অমানবিকতা ছাড়িয়ে গেছে। সরকার চাইলে কূটনৈতিক চ্যানেলে অনেক কিছু করতে পারতো। কিন্তু দেশে গণতান্ত্রিক সরকার নেই, নির্বাচিত সরকার নেই। যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের পায়ে মাটি নেই, কোমরে জোর নেই। এ জন্য প্রতিবেশী মায়ানমার লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে নির্যাতনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৮ সালে শহীদ প্রেসিডন্ট জিয়াউর রহমান কুটনৈতিক চ্যানেলে চুক্তির মাধ্যমে শরণার্থী হওয়া ২ লাখ রোহিঙ্গাকে সেদেশে পাঠিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া একই কাজটি করেছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের নিয়ে রাজনীতি করতে আসিনি। বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে রোহিঙ্গাদের সহায়তা ও ত্রাণ দিতে এসেছি। এক্ষেত্রে দল ও দলীয় নেতা কর্মীরা রোহিঙ্গাদের সহায়তার সাধ্যমত চেষ্টা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুুদু, ডা. জাহিদ হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় কমিটির মৎসজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহ জাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না প্রমুখ।