এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ নিয়মতান্ত্রিক পাঠদানের পাশাপাশি নিয়মিত বিভিন্ন সহশিক্ষামূলক কর্মসূচির কারণে দেশজুড়ে সমাদৃত হয়ে আসছে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়।
১১৩ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সমৃদ্ধ দেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়। গতবছর প্রতিষ্ঠানটি দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছিল। এবছরও প্রতিষ্ঠানটি রংপুর বিভাগে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখে।
এই অর্জনের পেছেনে অবদান রয়েছে বিদ্যালয়টির সাবেক-বর্তমান শিক্ষকমন্ডলীর পাশাপাশি সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদেরও। সকলের নিরলস পরিশ্রমে অর্জিত হয়েছে একেরপর এক সাফল্য।
সম্প্রতি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘আইটি ফেস্ট-১৭’ নামে দুই দিনব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। থাকছে ‘প্রোগ্রামিং ও জ্যোতির্বিজ্ঞান’ বিষয়ে দুই দিন ব্যাপী বিশেষ কর্মশালা, বিজ্ঞান ও আইটি বিষয়ক প্রোজেক্ট ডিসপ্লে, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও কুইজ কনটেস্ট।
তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর বর্তমান বিশ্বে ‘প্রোগ্রামিং’ ও ‘জ্যোতির্বিজ্ঞান’ শব্দ দুইটি অধিক পরিচিত। এই প্রোগ্রামিং ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের ধারণা কে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে, তাদেরকে প্রোগ্রামিং চর্চায় আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত, বিজ্ঞান ও আইসিটি ক্লাবের উদ্যোগে ২ দিন ব্যাপি এই কর্মশালার আয়োজন।
উক্ত কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দিবেন দেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
সীমিত আসনে প্রোগ্রামিং ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী ও অভিজ্ঞ কিছু শিক্ষার্থী উক্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করবে। ১২-১৩ সেপ্টেম্বর এ দুদিন এসব বিষয়ের উপর বিদ্যালয়ের মাল্টি পারপাস হলরুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সারাদিনব্যাপী চলবে বিজ্ঞান ও আইটি বিষয়ক প্রোজেক্ট ডিসপ্লে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আরও বেশি পরিমাণে বিজ্ঞানমনষ্ক করে তোলার লক্ষ্যে এসব আয়োজন বলে জানিয়েছে আয়োজক ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় গণিত, বিজ্ঞান ও আইসিটি ক্লাব সহ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
২ দিনের কর্মশালা শেষে বিজ্ঞান, আইসিটি ও গণিত বিষয়ে আন্তঃবিদ্যালয় কুইজ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, মোটিভেশনাল স্পীচ, সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে কর্মশালা এবং অনুষ্ঠান সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন