ঢাকা: রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া, তাদের ওপর নির্যাতন ও বাংলাদেশে পুশইন বন্ধে মিয়ানমারকে চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতীয় সংসদ। এসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। এ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বাংলাদেশে এখন প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে প্রায় কয়েক লাখ লোক আশ্রয় নিয়েছে। আসতে বাধ্য হয়েছে। তাদের ওপর যে নির্যাতনের চিত্র দেখলাম তার নিন্দা করার ভাষা আমার জানা নেই। রোহিঙ্গারা যে মিয়ানমারের নাগরিক এটি সবারই জানা। এদের মতো আরো অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতি আছে মিয়ানমারে। তাদের সমান অধিকার ছিল। ১৯৭৪ সালে বার্মার সামরিক জান্তা এই অধিকার কেড়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। ’৭৮ সালে রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন করা শুরু হয়। ২০১৫ সালে এসে রোহিঙ্গাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। একটি জাতির প্রতি মিয়ানমার সরকার কেন এমন আচরণ করছে তা সত্যিই আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, আমি যতবার মিয়ানমার গিয়েছি, তাদের অনুরোধ করেছি, রোহিঙ্গারা আপনাদেরই নাগরিক। তাদের ফিরিয়ে নিন। তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। কিন্তু ফিরিয়ে নেয়াতো দূরের কথা এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক রোহিঙ্গা তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরে বলেন, তাদের ওপর নির্যাতনের দৃশ্য দেখে এদেশে আসতে আমরা নিষেধ করবো কিভাবে?
আমরাও তো রিফিউজি ছিলাম। কাজেই রিফিউজি হয়ে থাকা কতটা অবমাননাকর তা আমরা ভালো বুঝি। আমরা চাই তারা যেন নিজের দেশে ফিরে যায়।
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেক দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলতে চাই। মিয়ানমার সরকারকে বলবো, যারা তাদের নাগরিক তাদের হঠাৎ নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার ফলাফল কি দাঁড়াতে পারে তা কি তারা টের পাচ্ছে। আমরা চাই তারা যেন তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়।