মিয়ানমারে ‘জাতি নির্মূল’ অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সেখানে যে কায়দায় অভিযান চালানো হচ্ছে, তা পুরোপুরি জাতি নির্মূলের সংজ্ঞার আওতায় পড়ে।
জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস সংস্থার প্রধান জেইদ রাদ আল হুসেইন দাবি করেছেন, মিয়ানমারের উচিত রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর এই নিষ্ঠুর ও বর্বর সামরিক অভিযান বন্ধ করা।
উল্লেখ্য, মানবাধিকার সংগঠনগুলো অনেক আগে থেকেই রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং মিলিশিয়া গ্রুপগুলো জাতি নির্মূল অভিযান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছিল। এবার খোদ জাতিসংঘ একই অভিযোগে অভিযুক্ত করল মিয়ানমারকে।
অন্যদিকে ব্রিটেনের ১৭৫ জন এমপি সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনকে যে চিঠি দিয়েছেন সেখানে তারা মিয়ানমার সৈন্যদের এমন নৃশংসতা ও নিপীড়ন বন্ধে উদ্যোগ নিতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে পরিসংখ্যান বলছে, সম্প্রতি ৩ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাঁদের ফিরিয়ে নিতে কিছুতেই রাজি নয় মিয়ানমার।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে মিয়ানমারে জাতিসংঘের প্রতিনিধি ইয়াংহি লি জানিয়েছেন, এপর্যন্ত রাখাইন প্রদেশে চলা সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১ হাজার নিরীহ মানুষ। তাঁদের মধ্যে সিংহভাগই সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের। রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে মৌন থাকায় সমালোচিত হয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মায়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি। তাঁর নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেওয়ার দাবিও উঠেছে।
সূত্র: বিবিসি