বিমান, মেট্রোসহ অন্য যানবাহনের মধ্যে বিষাক্ত টক্সিক গ্যাস ছড়িয়ে রাসায়নিক হামলার পরিকল্পনা করছে সন্ত্রাসবাদীরা। ভারতের গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর পাওয়ার পরই দেশটির প্রতিটি রাজ্য সরকার এবং নিরাপত্তা এজেন্সিগুলিকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
বিমানবন্দর, বাস টার্মিনাস এবং ট্রেন ও মেট্রো রেল স্টেশনগুলিতে যাত্রীদের ব্যাগ ভাল করে পরীক্ষা করার ব্যাপারেও অতিরিক্ত নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়েছে।বিমানের ভিতর টক্সিক গ্যাস ব্যাবহার করে সন্ত্রাসবাদীরা যাতে কোন হামলা করতে না পারে, তার জন্য প্রতিটি বস্তুর উপরই কড়া নজর রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে বিমানে রাসায়নিক হামলার আশঙ্কার খবর পেয়েই গত ১ সেপ্টেম্বর প্রতিটি রাজ্য সরকার, অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় ও নিরাপত্তা এজেন্সিগুলিকে এব্যাপারে চিঠি পাঠায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লেখা চিঠিতে জানানো হয়, সন্ত্রাসবাদীরা বাণিজ্যিক বিমানকে লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।
গত মাসে বিস্ফোরক পদার্থ রাখার সন্দেহে অষ্ট্রেলিয়ায় একটি বাণিজ্যিক বিমানকে নামানোর পরই ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এই সতর্কবার্তা জারি করে। এব্যাপারে অষ্ট্রেলিয়ার পুলিশ সেসময় জানায় সন্ত্রাসবাদীরা একটি উপসাগরীয় বিমানে ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) রাখার চেষ্টা করেছিল। আমরা তা বাতিল করি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে ওষধ, খাবার বা ঘর পরিস্কার করার জিনিসের আড়ালেই সন্ত্রাসবাদীরা রাসায়নিক পাউডার, অ্যাসিড ও পানি, কীটনাশক ব্যবহার করে তার থেকে বিষাক্ত টক্সিক গ্যাস উৎপন্ন করে বিমানে রাসায়নিক হামলা চালাতে পারে। চিঠিতে এও জানানো হয়েছে যে, সন্ত্রাসবাদীরা ছোট মাত্রায় অস্ত্র হামলা চালানো কিংবা বিমানবন্দরসহ অন্য যানবাহনের ক্ষেত্রগুলিতে শারীরিক নির্যাতন চালানোর ব্যাপারে উৎসুক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা পাওয়ার পরই ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি’এর পক্ষে চিঠি দিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ), ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং জেভি মেট্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।