.
সিলেট’র জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তিয়া ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের উদ্দ্যোগে সিলেট’র নতুন পর্যটন স্পট কানাইঘাটের রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তর্গত কাঁঠালবাড়ী হাওর দ্বীপে শেকড়ের খোঁজে এক আনন্দভ্রমণ অনুষ্টিত হয়েছে।
পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে নিয়ে এ ভ্রমণ অনুষ্টিত হয়। সকালে সিলেট থেকে হরিপুর হয়ে নৌকাযোগে কাঁঠালবাড়ী যান নেতৃবৃন্দ।
সেখানে গিয়ে সেখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য তারা ঘুরে ঘুরে দেখেন। অত্যন্ত সুন্দর,মনোমুগদ্ধকর দৃশ্য দেখে সকলেই বিমোহিত হন। তারা আঞ্চলিক গানের তালে তালে সিলেটের বিভিন্ন ইতিহাস- ঐতিহ্য তুলে ধরেন।
পরে কাঁঠালবাড়ী গ্রামবাসীর সাথে হেলাল মিয়ার বাড়িতে উঠান বৈঠকে এক মতবিনিময়ে মিলিত হন।
পরিষদের সভাপতি শিক্ষানুরাগী, লেখক, গবেষক ও ব্যাংকার মোহাম্মদ মোশতাক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লেখক নাসির উদ্দিনের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় স্থানীয় লোকজন তাদের দু:খ দুর্দশা, জীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। যোগাযোগ, বিদ্যুত, শিক্ষাপ্রতিষ্টান বিহীন অঞ্চল বলে তারা জানান।
স্থানীয় জনগন লেখক ও সাংবাদিকবৃন্দকে পত্রিকার মাধ্যমে তাদের এলাকায় একটি স্কুল প্রতিষ্টার জন্য সরকারের কাছে তাদের এ নিত্য প্রয়োজনিয় দাবিটি পৌছানোর জন্য তারা অনুরোধ জানান। নেতৃবৃন্দ লেখনীর মাধ্যমে এসব চিত্র তুলে ধরবেন বলে তাদের আশ্বস্থ করেন।
আনন্দ ভ্রমণে যারা ছিলেন তার মধ্যে গবেষক মোহাম্মদ মোশতাক চৌধুরী- ব্রাঞ্চ সার্ভিস ম্যানেজার ওয়ান ব্যাংক, সিলেট শাখা এবং সভাপতি, জৈন্তিয়া ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ), লেখক সাদেক আহমদ, কবি ও সমাজকর্মী, রোটারিয়ান রেবেকা জাহান রোজী, জৈন্তিয়া ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ’র সাধারণ সম্পাদক মো.নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক লুৎফুর রহমান তোফায়েল, সাংবাদিক তাওহীদুল ইসলাম, ব্যাংকার ইকবাল আহমদ, পরিষদের নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম, শাহিদ হাতিমী, লায়ন হুমায়ূন কবীর, সমাজকর্মী মো. গোলাম রাব্বানী, শিক্ষানুরাগী শাহানারা বেগম ইমা, সাহিত্যকর্মী মো.উবায়দুল্লাহ, প্রবাসী মো. নুরুল আম্বিয়া, নওরীন জাহান ঈশা, তাহসিন শাফিন ও জুবায়েল আহমদ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে কাটাল বাড়ি হাওর টিলা এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্রে রুপান্তরিত করলে বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করতে পারবে।
.
বার্তা প্রেরক
হাফিজুল ইসলাম লস্কর