খাবারের জন্য ক্ষুধার্ত রোহিঙ্গাদের হাহাকার

Slider জাতীয়
খাবারের জন্য ক্ষুধার্ত রোহিঙ্গাদের হাহাকার

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারী,পুরুষ ও শিশুরা দীর্ঘদিন না খেয়ে অনাহারে দিনাতিপাত করছে উখিয়ার বিভিন্ন ঝুপড়িতে। স্থানীয় স্বহৃদয়বান দানশীল ব্যক্তিরা এসব ক্ষুধার্ত অসহায় রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্যার্থে কলা, বিস্কিট, ছোরা, গুড়, মুড়ি, খিছুড়িসহ প্রভৃতি খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল সামগ্রী বিতরণ করলেও খেয়ে না খেয়ে আছে অনেক রোহিঙ্গা।

সরেজমিনে উখিয়ার কুতুপালং নতুন বস্তি এলাকা টিভি রিলে কেন্দ্রের পার্শ্বে দেখা যায়, স্থানীয় একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে কিছু যুবক ট্টাকে করে খিছুড়ি রান্না করে এনেছে ক্ষুধার  জ্বালায় কাতর রোহিঙ্গাদের জন্য। ট্টাকের উপর থেকে ১টি খিছুড়ির প্যাকেট দিতে গেলে এক সাথে হাজারের অধিক রোহিঙ্গার হাত।

এসময় কথা হয় মিয়ানমারের  মংডু তমবাজার এলাকার বাসিন্দা আব্দু শুক্কুর (৪৫)এর সাথে। তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার, নির্যাতন, দমনপীড়ন, গুলি করে নারী,পুরুষ,শিশু হত্যার কারনে জীবন বাঁচাতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে স্বপরিবারে ১১সদস্য বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে চলে আসি। সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দীর্ঘ ৫দিন অবস্থান করার পর গত ২সেপ্টেম্বর পালংখালী আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করি। তিনি আরো বলেন গত ১৪দিনে মাত্র ১ বেলা খাবার খেয়েছে তাঁর পরিবার। তাই তারা খাবারের জন্য হাহাকার করছে।

আরো দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসহায় ক্ষুধার্ত রোহিঙ্গাদের মাঝে খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছে ঢালাও ভাবে। এতে দুর্বল, বয়োবৃদ্ধ লোকেরা এসব সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কুতুপালং রাস্তার পাশে আশ্রয় নেওয়া বয়োবৃদ্ধ রোহিঙ্গা খুইল্যা মিয়া (৭৯) জানান, তার পার্শ্ববর্তী যারা আছে তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মালামাল পেয়ে থাকলেও আমি এই পর্যন্ত কিছুই পাইনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ নিয়ন্ত্রণহীন রাস্তার উপর গাড়ী থামিয়ে খাবার ও অন্যান্য মালামাল বিতরণ করার কারনে কুতুপালং থেকে পালংখালী দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ১৫মিনিটের সড়ক যোগাযোগ ১ঘন্টার বেশি সময় লাগে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *