সেই ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফর করে ভারত। সেই শুরু।
এরপর গত দুই বছরের অধিক সময়ে দেশের মাটিতে টাইগাররা ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্ট সিরিজ খেলেছে চারটি। যার একটিতেও হারেনি। প্রত্যেকটাই ড্র করেছে সমান তালে লড়াই করে। মাঝে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ১-১ সমতা করে একটি সিরিজ। ক্রিকেট বিশ্বের উঠতি শক্তি হিসেবে নিজেদের অবস্থান ঠিক করছেন টাইগাররা। তারপরও খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পান না মুশফিকরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ ১-১ সমতা আনার পর টাইগার অধিনায়কের মুখে শোনা গেল টেস্ট কম খেলতে পারার সেই আক্ষেপ। চট্টগ্রাম টেস্টের পর আইসিসি’র কাছে আরও বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ চাইলেন মুশফিক, ‘গত কিছুদিন ধরে আমরা টেস্টে ভালো করছি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো প্রতিষ্ঠিত দলকে দেশের মাটিতে হারিয়েছে। এখন কোনো দল দেশের মাটিতে আমাদের হালকাভাবে নেবে না। আমরা এখন এটাই প্রতিষ্ঠিত করেছি—নিজেদের মাঠে যে কোনো দলকে হারাতে পারি। আমরা আইসিসি’র কাছে অনুরোধ করব আমাদের আরও বেশি টেস্ট ম্যাচ দিতে। আরও বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে আমরা আরও ভালো করবো। ’ ঢাকায় প্রথম টেস্ট জয়ের পর চট্টগ্রাম টেস্ট জিতে অসিদের হোয়াইটওয়াশ করার সুবর্ণ সুযোগ ছিল টাইগারদের। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টের বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের কিছু ভুলের কারণে সে সুযোগ হাতছাড়া হয় বলে মনে করেন অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘প্রথম ইনিংসই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সেট হওয়ার পর ব্যাটসম্যানরা আউট হয়েছে। ব্যাটিং উপযোগী উইকেট হওয়ার পরও ব্যাটসম্যানরা উইকেট বিলিয়ে দেওয়ায় বড় স্কোর গড়তে পারেনি। যদি প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর গড়ে দেড়শ রানের মতো লিড নেওয়া যেত তাহলে ম্যাচটা অন্যরকম হতো। ’
টাইগারদের লিটল মাস্টার খ্যাত মুমিনুল হক টেস্ট স্পেশালিস্ট হলেও চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছেন আট নম্বরে। টেস্টে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যানকে লো-অর্ডারে ব্যাট করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাঁহাতি-ডানহাতি কম্বিনেশনের জন্য তাকে পেছনের দিকে খেলা হয়েছে। এটা টিম পরিকল্পনারই অংশ ছিল। তবে ৮ নম্বরে ব্যাটিং করা চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়ে। ভবিষ্যতে টিমের জন্য ভালো হবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’ প্রথম ম্যাচ জয়ী হলেও কিছু ভুলের কারণে ম্যাচ হেরেছে বলে মনে করেন টাইগারদের অন্যতম এ ব্যাটিংস্তম্ভ। ক্যাচ মিস এবং লিয়নকে খেলতে না পারার কারণে ম্যাচ হেরেছে বলে মনে করেন তিনি। ক্যাচ মিসের বিষয়ে মুশফিক বলেন, ‘দলের ৪ থেকে ৫টা ক্যাচ মিস করা অবশ্যই মাইনাস পয়েন্ট। ক্যাচ মিসই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ’ ক্যাচ মিসের কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের স্পেশালিস্ট কোনো ফিল্ডার নেই। স্লিপ এবং ক্লোজ ফিল্ডার হিসেবে যারা ফিল্ডিং করেন তারা কেউ স্পেশালিস্ট ফিল্ডার নয়। তাদের স্পেশালিস্ট ফিল্ডার হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করা হচ্ছে। ’ তামিম-সাকিবের ব্যর্থতার কারণে এ ম্যাচ হেরেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অধিনায়ক বলেন, ‘তারা প্রত্যেক ম্যাচে ভালো করতে পারবেন না। অন্যদেরও ভালো করতে হবে।